৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে ক্যাপ্টেন তানিয়া রেজা ও ফার্স্ট অফিসার সারওয়াত সিরাজ অন্তরা’র পরিচালনায় সকল নারী কেবিন ক্রুদের নিয়ে নারীর নেতৃত্বে বিমানের বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
আজ দুপুরে বিশেষ ফ্লাইট বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিজি-৬০৩ ফ্লাইটটি ৮০ জন যাত্রী নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে। এ সময় বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ এবং পরিচালক প্রশাসন মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘ বিমানে ফ্লাইট পরিচালনাসহ, গ্রাউন্ড সার্ভিস, প্রকৌশল এবং বিভিন্ন বিভাগে নারী কর্মীরা দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। দেশের নারীরা বিশ্বের সংগে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে, এটি তুলে ধরতেই নারী দিবসে এই বিশেষ ফ্লাইট’।
তিনি এই বিশেষ দিনে বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা নারী সহকর্মীদের অভিনন্দন জানান। ২০৩০ সালের মধ্যে বিমানে ৫০শতাংশ নারী কর্মী নিয়োগের কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে বলে তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন মোসাদ্দিক আহমেদ।
শুধু নারী দিবস বলে নয়, বছরের অন্যান্য কর্মদিবসেও বিমানে নারী কর্মীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সরকার নারীদের ক্ষমতায়নে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। বিমান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পুরুষ কর্মীদের পাশাপাশি নারীরাও সমান তালে দক্ষতার সংগে কাজ করে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ শাকিল মেরাজ বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নারীদের সুষ্ঠু, সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশের নারীরাও এভিয়েশন খাতে সফল, এ বিষয়টি আমরা তুলে ধরতে চাই। একই সঙ্গে সারা দেশের নারীদের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই, আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখলে সেটি সফল হওয়া সম্ভব’।
উল্লেখ্য ক্যাপ্টেন তানিয়া রেজা বিমানে যোগ দিয়েছেন ২০০০ সালে। তিনি এফ-২৮, ডিসি১০-৩০ এবং এয়ারবাস-এ৩১০ উড়োজাহাজ চালিয়েছেন। বর্তমানে তিনি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজের ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব পালন করছেন।
এই বিশেষ ফ্লাইটের উদ্দেশ্য বিশ্বকে দেখানো বাংলাদেশের নারীরা এভিয়েশন খাতে সফলভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম। তাদের অবদান বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের ইতিহাসে স্বরণীয় হয়ে থাকবে।