নারায়ণগঞ্জের ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে সাংসদ শামীম ওসমান ও মেয়র আইভী সমর্থকদের সংঘর্ষে মেয়র আইভী, সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়েছে। প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়াসহ দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই শতাধিক শর্ট গানের ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর চাষাঢ়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সাংসদ শামীম ওসমান নগরীর ফুটপাতে বিকেল থেকে উচ্ছেদ করা হকারদের বসানোর ঘোষণা দেয়ার প্রতিবাদে নগর ভবন থেকে পায়ে হেঁটে মেয়র আইভী তার নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিলসহ চাষাঢ়ায় আসেন। মুক্তি জেনারেল হাসপাতালে সামনে এলে প্রতিপক্ষ তাদেরকে লক্ষ্য ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। নেতাকর্মীরা আইভীকে মানব ঢাল তৈরী করে রক্ষা করে।
এরপর থেকে চলতে থাকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা। বিকেল সাড়ে চারটা থেকে বিকাল পাচটা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। পুলিশের সঙ্গে শামীম ওসমান সমর্থক ও হকারদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ দুই শতাধিক রাউন্ড শর্ট গানের ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।
নগরীর চাষাঢ়া থেকে দুই নং রেল গেইট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে হকারদের সমর্থনে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান রাজপথে নেমে এসে হকারদের পক্ষ নিয়ে বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থান করেন। আহত আইভী প্রাথমিক চিকিৎসার পর নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে অবস্থান নেন।