নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের ঘটনায় দু’টি মামলার রায় আজ। আদালতের কার্যদিবস শুরু হওয়ার পর সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যেই রায়টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
রায় ঘোষণা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণসহ পুরো শহরেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবার আইনজীবী ও গণমাধ্যমের কোনো গাড়িও আদালত প্রাঙ্গণে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
কাশিমপুর কারাগারে থাকা ৭ খুন মামলার ৩ জনসহ সব আসামিকে থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুই মামলার চার্জশিটে ৩৫ জন অভিন্ন আসামি, তাদের মধ্যে ২৩ জন গ্রেফতার ও ১২ জন পলাতক রয়েছে।
আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির প্রত্যাশা করছেন নিহতদের স্বজন এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
৭ খুনের ঘটনায় দু’টি মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল এবং অপরটির বাদী নিহত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।
তদন্তকারীরা প্রধান আসামি নূর হোসেন এবং র্যাবের সাবেক ৩ কর্মকর্তাসহ ৩৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের পর সর্বশেষ যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রায়ের দিন ঠিক করেন।
৩৫ জনকে আসামি করে গত ৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটির চার্জশিট গঠন করা হয়। আসামিদের মধ্যে ১৭জনই র্যাব সদস্য। পলাতক ১২ জনের মধ্যে র্যাব সদস্য ৮ জন। যে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়েছে তারা ইতোমধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বিকেলে অপহৃত হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জন। তিন দিন পর তাদের মরদেহ পাওয়া যায় শীতলক্ষ্যা নদীর শান্তির চর এলাকায়।
৩০ নভেম্বর ২০১৬ দু’টি মামলায় র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ আটক সব আসামির উপস্থিতিতে আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন। অন্য আসামীদের মধ্যে আছেন র্যাবের চাকুরিচ্যুত তিন কর্মকর্তা– লেফটেনেন্ট কর্নেল (বরখাস্ত) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর (বরখাস্ত) আরিফ হোসেন এবং লেফটেনেন্ট কমান্ডার (বরখাস্ত) এম এম রানা।