চীনের কমিউনিস্ট পার্টির জাতীয় কংগ্রেস সভাকে সামনে রেখে স্মার্টফোনের জনপ্রিয় ম্যাসেঞ্জার হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনছে দেশটির সরকার। এজন্য প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছবি, ভিডিও বা লেখা আদান-প্রদানে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
চীনে প্রতি পাঁচ বছর পর পর কমিউনিস্ট পার্টির জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই সভা। এ্ই সভাকে সামনে রেখে যাতে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, এজন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার ‘নিয়ন্ত্রণ’ করছে দেশটির সরকার।
তবে এই অ্যাপের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এমন কোন ঘোষণা দেয়া হয়নি। কিছুদিন ধরে সমস্যা দেখা দেয়ার পর ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারেন যে দেশীয় ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার করে অ্যাপটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
এ কারণে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা জটিলতা, সমস্যা ও ভোগান্তিতে পড়েন। দেশটির নাগরিকরা ফেসবুকের মালিকানাধীন সেবাগুলোর মধ্যে একমাত্র হোয়াটসঅ্যাপই ব্যবহার করতে পারতেন। এখন সে সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
তবে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের (ভিপিএনএস) সাহায্যে চোরাই পথে এটি ব্যবহার করা যাচ্ছে। এর আগে চলতি বছর জুলাই মাসে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে কিছুদিনের জন্য ছবি ও ভিডিও চ্যাট সুবিধা বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে অবশ্য সে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হয়।
বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যায়। শুধু চ্যাটই নয়, এ ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে ছবি আদান-প্রদান, ভিডিও ও অডিও মিডিয়া বার্তাও আদান-প্রদান করা যায়।
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সুবিধা পেয়ে থাকেন, অর্থাৎ বার্তা প্রেরক ও গ্রাহক ছাড়া বার্তা সম্পর্কে তৃতীয় কোন তথ্য জানতে পারবেন না। এমনকি ফেসবুক কর্তৃপক্ষও এই বার্তা সম্পর্কে অবগত থাকেন না বলে দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি।