নর্থ কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং পারমাণবিক অস্ত্র বন্ধ করতে অর্থনৈতিক কঠোর নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে কূটনৈতিকভাবে চাপে রাখতে কৌশল গ্রহণ করতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
বুধবার হোয়াইট হাউজে নর্থ কোরিয়ার উপর সিনেটরদের এক জরুরি বৈঠক শেষে এমন কৌশলের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এসময় প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনকে শিক্ষা দিতে সাউথ কোরিয়া থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার মাধ্যমে নর্থ কোরিয়ার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র তাক করে রাখা আছে বলে জানান দেশটির প্রশান্ত মহাসাগর বিষয়ক হেড অব কমান্ড অ্যাডাম হ্যারি হ্যারিস।
এসময় তিনি আরো বলেন, নর্থ কোরিয়ার যেকোন ধরণের মিসাইল প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্র তার সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে প্রস্তুত। কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধজাহাজ এবং একটি সাবমেরিন মোতায়েন রয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার হোয়াট হাউজে নর্থ কোরিয় বিষয়ে সিনেটরদের এক জরুরি সভায় এসব কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এই কমকর্তা।
এদিকে নর্থ কোরিয়া আবার নতুন করে অস্ত্র পরীক্ষায় করলে আবারো উত্তেজনা তৈরী হয়। এই ঘটনার পর হোয়াট হাউজের জরুরী সভাশেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টেলারসন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের প্রধানের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আমেরিকা স্থিতিশীলতা চায়, কোরিয়ান উপদ্বীপে শান্তিপূর্ণভাবে পরমাণুশক্তির বিনাশ চায়। আমরা এবিষয়ে আলোচনার জন্য সবসময় দরজা খোলা রেখেছি। আবার আমরা আমাদের জীবন রক্ষার জন্য প্রস্তুত আছি।
নর্থ কোরিয়ার পারমাণবিক বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র হ্রাসে এই অঞ্চলের সহযোগি দেশের সাহায্যে নর্থ কোরিয়ার উপর অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক চাপের প্রয়োগ করা হবে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
যদিও নর্থ কোরিয়ার উপর আমেরিকার অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আগে থেকে বহাল ছিলো।এই নিষেধাজ্ঞা একবছর আগে নর্থ কোরিয়ার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং স্যাটেলাইট সূচনা করার জন্য ওবামা সরকার আরোপ করেছিলো।
নর্থ কোরিয়া সরকারের আমেরিকাতে সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, রপ্তানি,বিনিয়োগ সবকিছু বাতিল করা হয়। এমনকি আমেরিকান নন তাদের কেউ নর্থ কোরিয়ার সঙ্গে কারবার করলে ব্ল্যাক লিস্ট করার হুমকি দেয়।
নর্থ কোরিয়ার থেকে হুমকি আসার পর ১০০ জন সিনেটরের জরুরী এক বৈঠক শেষে বুধবার ট্রাম্প প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলো।