নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় নদী ভাঙ্গনের শিকার ভূমিহীনদের পুনর্বাসনে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। জমি ও বসতঘর পেয়ে আনন্দিত সেখানকার ভাঙ্গনকবলিত মানুষ। তবে মাথা গোঁজার ঠাই হলেও তাদের জন্য সেখানে নেই কর্মসংস্থান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও রাস্তাঘাট।
ইতোমধ্যে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় নদী ভাঙ্গনের কারণে ভূমিহীনদের পুর্নবাসন করতে ছয়টি গুচ্ছগ্রাম করেছে সরকার। এর মধ্যে স্বপ্নবিনা এবং তরুছায়া গুচ্ছগ্রাম দু’টির কাজ শেষ হয়েছে। প্রতিটি গুচ্ছগ্রামে ৫০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। প্রতি পরিবারকে দেয়া হয়েছে এগারো শতক জমি ও একটি বসতঘর। এছাড়াও গুচ্ছগ্রামে আছে পুকুর, টিউবওয়েল, স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য হলরুম। গৃহহীন ভূমিহীন পরিবারগুলো এসব সুবিধা পেয়ে খুশি।
তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, হাসপাতাল এবং বিদ্যুৎ সুবিধা না থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের। এছাড়াও চরাঞ্চলে নেই কর্মসংস্থানের সুযোগ। প্রশিক্ষণ এবং বিনা সুদে ঋণের দাবি জানিয়েছেন সেখানকার মানুষ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, কয়েকটি গুচ্ছগ্রাম দিয়ে হাজার হাজার ভূমিহীনকে পুর্নবাসন সম্ভব নয়। বরং এখানে তাই এ ধরনের আরও বেশকিছু প্রকল্পের প্রয়োজন।
এছাড়া সরকার ভূমিহীনদের পর্যায়ক্রমে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসবে এবং বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেয়া হবে এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভুগীদের।