নতুন বছর উপলক্ষে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সপরিবার বাহামা দ্বীপপুঞ্জে ধনকুবের এবং আধ্যাত্মিক নেতা আগা খানের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেই অবকাশ যাপন নিয়ে বিতর্কের মুখে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে দেশটির ফেডারেল এথিকস কমিশনার।
বিবিসি জানিয়েছে, কানাডার ফেডারেল এথিকস কমিশনার এখন তদন্ত করে দেখবেন জাস্টিন ট্রুডো অবকাশ যাপনের জন্য আগা খানের ব্যক্তিগত দ্বীপে যাওয়া রাষ্ট্রী কোনোয় স্বার্থের সঙ্গে সংঘাত তৈরি করে কিনা।
ট্রুডো অবশ্য বলেছেন, তিনি যে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে তৈরি।
গত সপ্তাহের প্রাথমিক তদন্তের পর এথিকস কমিশনার মেরি ডাউসন জানান, প্রধানমন্ত্রী কোনো নীতি ভঙ্গ করেছেন কিনা সে বিষয়টি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত করবেন।
ট্রুডো স্বীকার করেছেন তিনি আগা খানের ব্যক্তিগত হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছেন। আগা খান পরিবারের সাথে কানাডার ট্রুডো পরিবারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
আগা খান ফাউন্ডেশন কানাডায় লবিস্ট বা তদবিরকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। গত কয়েক দশকে আগা খান ফাউন্ডেশন কানাডার লিবারেল এবং কনজারভেটিভ রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে লবিস্ট ফি হিসেবে শত-শত কোটি ডলার নিয়েছে।
কানাডার আইন অনুসারে, সে দেশের কোনো মন্ত্রী কারও কাছ থেকে কোনো ধরণের উপহার কিংবা বিনামূল্যে ভ্রমণ সুবিধা নিতে পারবেন না। এখনো পর্যন্ত কানাডার কোনো প্রধানমন্ত্রীকে এ ধরনের নীতি ভঙ্গের জন্য দায়ী করা হয়নি। ট্রুডোই প্রথম অভিযুক্ত হলেন এমন অভিযোগে।
কিন্তু এ ধরনের অভিযোগ ট্রুডোর ইমেজের জন্য খানিকটা বিব্রতকর হতে পারে। কারণ ব্যক্তিগত আচরণ এবং সহজে জনসাধারণের সঙ্গে মেলামেশার জন্য কানাডার এই প্রধানমন্ত্রীর বেশ সুনাম রয়েছে।