দিনাজপুর থেকে একই পরিবারের অপহৃত ২ কন্যা শিশুকে এক সপ্তাহ পর ফুলবাড়ী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের পর আটকে রাখা বাড়ি থেকে সোমবার সকালে ওই ২ শিশু পালিয়ে আসলে স্থানীয় জনতার সহায়তায় পুলিশ তাদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার আরো এক নারীকে আটক করেছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে ৫ জনকে।
দিনাজপুর শহরের কসবা ফকিরপাড়া এলাকার কামরুল ইসলামের ২ শিশু কন্যা কাকলী (১২) ও আমিনা (৪)। ২২ জানুয়ারি দুপুরে বাসার পাশে খেলা করতে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই পরিবারের পক্ষ থেকে দিনাজপুর কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি এবং পরবর্তীতে ২৪ জানুয়ারি ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারে উল্লেখকৃত আসামি মাদক ব্যবসায়ী লিটন, জান্নাতুল ফেরদৌস, রোখসানা ও নাজমা বেগমকে আটক করে।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বিজিবি ক্যাম্পের পেছনে রাজারামপুর চৌধূুরী পাড়া এলাকায় এক সরকারি বাসভবনের ঘরে অপহরণের পর আটকে রাখা বাড়ি থেকে আজ সোমবার সকালে পালিয়ে আসে ওই ২ শিশু।
স্থানীয় জনতার সহায়তায় পুলিশ বেলা ১২টায় ওই ২ শিশুকে উদ্ধার করে। অপরণের পর আটকে রাখা ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে সাহারা (৪০) নামে এক মহিলাকে আটক করে।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেদওয়ানুল রহিম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত ২ শিশুকে। এই মামলার জট এখন খুলবে বলে জানিয়েছে তিনি।
একই পরিবারের ২ শিশু কন্যা অপহরণ ও উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে দিনাজপুরের হাকিমপুর থেকে অপহৃত শিশু নাহারুল ইসলামকে অপহরণের দু’দিন পর সৈয়দপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে আটক করেছে হাকিমপুর থানা পুলিশ।
রোববার বিকেলে সৈয়দপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারসহ তাদের আটক করা হয়।
নাহারুল ইসলাম (৯) হাকিমপুর উপজেলার বাওনা গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে ও বাওনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
আটককৃতরা হলো দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার নলবাড়ী গুচ্ছগ্রামের ক্ষীতিশ চন্দ্রের ছেলে পরিমল চন্দ্র (২৩) ও একই গ্রামের সমবারু চন্দ্রের ছেলে সুবোধ চন্দ্র রায় (৩২)।
হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সবুর জানান, বাড়ির সামনের একটি মুদি দোকান থেকে নাহারুল ইসলামকে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণকারী চক্র মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে জিম্মি করে তার পরিবারের নিকট ৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এ ব্যাপারে নাহারুলের পিতা সোলাইমান আলী হাকিমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের লোকেশন চিহ্নিত করে সৈয়দপুর এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধারসহ পরিমল ও সুবোধ নামে দু’জনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় আরো দু’জন পলাতক রয়েছেন।