চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বন্যা পরিস্থিতি: দিনাজপুর ও গাইবান্ধায় আরও ৫ জনের মৃত্যু

দিনাজপুর ও গাইবান্ধায় বন্যার পানিতে ডুবে শিশুসহ আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া টানা বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধা ও দিনাজপুরে এখনও নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এর মধ্যে গাইবান্ধা জেলার ৬ উপজেলার ৪২টি ইউনিয়নের প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকাই পানির নীচে।

এছাড়া সড়কের উপর দিয়ে পানি ওঠায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বন্যা কবলিত এ এলাকার মানুষ। এ কারণে নতুন করে জেলার ৩ ইউনিয়নের অন্তত ৩০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে জেলায় এ পর্যন্ত দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি অবনতির ফলে ইতোমধ্যে গাইবান্ধা শহরের ডেভিট কোম্পানি পাড়া, মিয়াপাড়া, কোমরনই, ফুলছড়ির সিংড়িয়া, সাঘাটা-গাইবান্ধা সড়কের ভরতখালী এলাকায় ১০ টি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে দেখভালের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে।

অন্যদিকে বন্যার পানিতে ডুবে দিনাজপুরে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দিনাজপুরে ২১ জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম।

বন্যায় দিনাজপুরের অধিকাংশ সড়ক ও মহাসড়ক পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় জেলার সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলাসহ ঢাকার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রেল লাইন ডুবে যাওয়ায ৫ দিন ধরে বিচ্ছিন্ন রয়েছে পাবর্তীপুর-পঞ্চগড় রেল যোগাযোগ।

এছাড়া হিলি স্থলবন্দর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় শনিবার থেকে বন্ধ রয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।

এদিকে টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার নওয়া এলাকায় ঝিনাই নদীর বাধ ভেঙ্গে বাসাইল ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ২০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের আমন-বোরো ধানের চারা বিনষ্ট সহ উঠতি সবজির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।