চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

দারিদ্র্যের হার কমছে, বৈষম্যও কমাতে হবে

পুঁজিবাদী যুগে বৈশ্বিক বাস্তবতার সমরূপ চিত্র বাংলাদেশেও বিদ্যমান। বাংলাদেশের নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, মানুষের জীবনযাপনের অবস্থানের পরিবর্তন হলেও ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য বাড়ছেই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে এবং দরিদ্ররা দরিদ্র হচ্ছে। এমনকি মোট আয়ের ৩৮ শতাংশ ধনীদের হাতে। ৩৮ শতাংশ আয় ধরে রাখা এই ধনীর সংখ্যা মাত্র ১০ শতাংশ। আর মোট আয়ের মাত্র ১ শতাংশ ভোগ করেন সবচেয়ে গরীব ১০ শতাংশ মানুষ। এর পেছনে দুর্নীতি, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, স্বজনপ্রীতি, নিয়মনীতির অভাবসহ অনেক কারণ রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেছেন।অবশ্য গত ছয় বছরে সার্বিক দারিদ্র্যের হার সাড়ে ৩১ শতাংশ থেকে কমে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু তারপরও দেশে প্রতি ১০০ জন মানুষের মধ্যে ২৪ জন গরীব, আর হতদরিদ্র প্রায় ১৩ জন। সেই হিসাবে, দেশে ৩ কোটি ৯৩ লাখ দরিদ্র মানুষ আছে। হতদরিদ্রের সংখ্যা ২ কোটি ৮ লাখ। আশার কথা হলো- চরম দারিদ্র্যের আন্তর্জাতিক হারের চেয়ে বাংলাদেশের হার কম। এমনকি বাংলাদেশের চরম দারিদ্র্যের হার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার চেয়েও কম। দারিদ্র্যের হার হ্রাসের চিত্র আশাজাগানিয়া হলেও বৈষম্যের রূপ দুঃখজনক। এই ক্ষেত্রে ভারসাম্যমূলক অবস্থান সৃষ্টির জন্য সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। দুর্নীতি বন্ধ ছাড়াও ধনী-দরিদ্রের আয়ের বৈষম্য কমাতে পাশ্চাত্যে যেমন বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হয়, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তা গুরুত্বের সঙ্গে প্রয়োগ করতে হবে বলে আমরা মনে করি। এক্ষেত্রে নিম্ন আয়ের মানুষদের বেশি বেশি সহায়তা, ধনীদের আয়কর দরিদ্রদের মাঝে বিতরণের মতো উদ্যোগ নেয়া যায়। বাজার বিশ্লেষণের উপর জোর দেওয়া, নিয়ম-নীতির অধীনে বাজার পরিচালনাও আনতে পারে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন। পিছিয়ে পড়া মানুষরা যেন সঠিকভাবে রাষ্ট্রের দেওয়া সুযোগ সুবিধাগুলো পায় সেদিকে নজর দিতে হবে।