হেইলি ডাওসন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডার ৭ বছর বয়সী এই মেয়ের একটি হাত কৃত্রিম, তাও আবার থ্রিডি প্রিন্টারে তৈরি। তবে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো তার এই হাত দিয়েই সে ফার্স্ট পিচে বল ছুড়ে ওয়ার্ল্ড সিরিজ বেসবলের চতুর্থ গেমের সূচনা করেছে।
গতকালের এই ম্যাচটি ছিল লস অ্যাঞ্জেলেস ডজারস এবং হিউস্টন অ্যাস্ট্রোসের মধ্যে।
তার মা জানান, কৃত্রিম হাত নিয়েই হেইলে এখন নিয়মিত খেলার অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে। এই ম্যাচগুলোকে আলাদাভাবে দেখছেন না বলেও জানান তিনি।
নেভাডার অধিবাসী হেইলি পোল্যান্ড সিনড্রোমে আক্রান্ত। এটি একটি জন্মগত রোগ। এ কারণে তার জন্ম হয়েছিল ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল ছাড়াই। এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে সে থ্রিডি প্রিন্টারে তৈরি একটি হাত ব্যবহার করে। হাতটি তৈরি করেছেন লাস ভেগাসের ইউনিভার্সিটি অব নেভাডার একদল গবেষক।
২০১৫ সালে লাস ভেগাসের একটি লিগে প্রথমবারের টসআউট অর্থাৎ বেসবল ছুড়ে খেলার সূচনা করে হেইলে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো লিগেই টসআউট করেছে সে। তার লক্ষ্য হলো মেজর লিগ বেসবলের (এমএলবি) ৩০টি স্টেডিয়ামেই টসআউট করা। লক্ষ্য অর্জনের প্রায় মাঝপথে আছে সে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বেসবল দলের কাছ থেকে প্রথম হেইলের সম্পর্কে জানতে পারে এমএলবি। গত মাসেই এমএলবীর সবচেয়ে বড় ইভেন্ট ওয়ার্ল্ড সিরিজে পিচের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সাধারণত কৃত্রিম হাত কিংবা পা বেশ ব্যয়বহুল। এতে খরচ হয় ২৫ হাজার ডলারেরও বেশি। ফলে অনেকেই আগ্রহী হন না। তবে এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছে থ্রিডি প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রির একদল মানুষ। ‘ওপেন হ্যান্ড প্রজেক্ট’ নামের একটি অলাভজনক প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে এই কৃত্রিম অঙ্গ তৈরির খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। এক্ষেত্রে হাত বা পা বেশ সহজলভ্য করার সুযোগ রয়েছে।