তামিমের ধারাবাহিক ওপেনিং, তিন নম্বরে সাকিবের ভিত গড়া অভিজ্ঞ ব্যাটিং , পরে মুশফিকের রানের গতি সচল রাখা ইনিংস। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা তিন ব্যাটসম্যানের এমন ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাত উইকেটে ৩২০ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
এই ম্যাচ জিতলে ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখবে বাংলাদেশ। প্রতিটি দল চারটি করে ম্যাচ খেলবে। সেই হিসেবে বাংলাদেশের বাকি থাকবে দুটি। ওই দুটির একটি জিতলে ফাইনাল নিশ্চিত। হারলে রানরেটের হিসাবে এগিয়ে থেকে ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।
বাংলাদেশ এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিজয়কে নিয়ে তামিম ৭১ রানের জুটি করেন।
বিজয় ব্যক্তিগত ৩৫ করে ফিরলে সাকিবকে নিয়ে ৯৯ রানের জুটি গড়েন দেশসেরা ওপেনার। তামিম ফেরেন ১০২ বলে ৮৪ করে। সাত চার, দুই ছয়ে এই রান করেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও ৮৪ করেছিলেন। সেদিন অবশ্য অপরাজিত ছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ সাত ম্যাচে তামিমের এটি পঞ্চম অর্ধশতক।
বিজয় ২৯ ইনিংসে এক হাজার রানের ফাইলফলক ছুঁয়েছেন। যৌথভাবে এটি দেশের দ্রুততম। শাহরিয়ার নাফিসও সমান সংখ্যক ইনিংসে এক হাজার করেন।
সাকিব অর্ধশতকে পা রাখেন ৫০ বলে। গুনারত্নের বলে ধরা পড়ার আগে ৬৩ ডেলিভারিতে ৬৭ করে যান। আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় সাকিব ৩ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ৩৭ রান করেছিলেন।
সাকিব ফিরে গেলে মুশফিক চালিয়ে খেলতে থাকেন। ৪২ বলে অর্ধশতকে পৌঁছান তিনি। ৪৭তম ওভারে থিসারা পেরেরার ইয়র্কর বলকে হাফভলি ভেবে সুইপ করতে যেয়ে বোল্ড হন। শেষ পর্যন্ত ৫২ বলে ৬২ করেন। চারটি চার একটি ছয়ে এই রান করেন সাবেক অধিনায়ক।
মাশরাফী ৫ বলে ৬ করে বিদায় নেন। সাইফকে (৬) নিয়ে সাব্বির ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পেরেরা ৬০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। দুটি উইকেট পান প্রদীপ।