চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক চূড়ান্ত করেছে সরকার

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে ফ্রেমওয়ার্ক চূড়ান্ত করেছে সরকার।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় তিস্তা নদীর অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

এছাড়া ফেনী নদীর অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন চুক্তির ফ্রেমওয়ার্কও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য আবুল কালামের এক প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, ‘শিগগিরই সমতা, ন্যায়ানুগতা এবং পারস্পরিক ক্ষতি না করার নীতির ভিত্তিতে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদন করা হবে। ভারতের সঙ্গে আলোচনা পূর্বক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

তিনি বলেন, মনু, মুহুরী খোয়াই গোমতী ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বণ্টন বিষয়েও আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

পানি সম্পদ মন্ত্রী সংসদকে জানান, ১৯৯৬ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের মধ্যে শুকনো মৌসুমে ফারাক্কার গঙ্গা নদীর প্রবাহ বণ্টনের লক্ষ্যে ৩০ বছর মেয়াদী একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ অনুসারে ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতি বছর শুকনো মৌসুমে ফারাক্কায় গঙ্গা নদী পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে সবোর্চ্চ গুরুত্ব প্রদান করেও বিভিন্ন পর্যায়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন।

২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরকালে শুকনো মৌসুমে তিস্তা নদীর পানি স্বল্পতার কারণে দুই দেশের জনদুর্ভোগের কথা বুঝতে জরুরি ভিত্তিতে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া প্রয়োজন মর্মে যৌথ ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়।