চট্টগ্রাম থেকে: যে সিলেট নিজেদের মাঠে হিরো ছিল, সেই সিলেট ঢাকাপর্বের পর বন্দরনগরীতেও ব্যাকফুটে। নাসির, আবুল হাসানরা বলে যেতেই গ্যালারি জুড়ে ভুয়া-ভুয়া চিৎকার। সেই চিৎকারের তালে তালে লুক রঞ্চি (৪১), ভ্যান জিল (৪০) আর সিকান্দার রাজার (৯৫) তাণ্ডব। তাতে টস হেরে আগে ব্যাট করে ২০ ওভার শেষে চিটাগং ভাইকিংসের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২১১।
দুইশর ওপর আরও আটটি সংগ্রহ দেখেছে বিপিএল। যার সর্বোচ্চটি ঢাকার, ২১৭/৪; রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ২০১৩ সালে। তখন অবশ্য দলটির নাম ছিল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স। সেই দলটির আরও তিনটি সংগ্রহ আছে দুইশর ওপর। ঢাকা ডায়নামাইটস নাম নেয়ার পরও দুইশ পেরোনো স্কোর দেখেছে ঢাকা।
পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকায় চিটাগংয়ের আর পেছনে ফেরার উপায় নেই। অন্যদিকে শীর্ষচারে অবস্থান শক্ত করতে হলে সিলেটেরও এ ম্যাচে জয় চাই।
এমন দিনে স্বাগতিকদের শুরুটা ভাল হয়নি। ওপেনার সৌম্য সরকার (১) ফিরে যান দলীয় ২৬ রানে। সিলেট কাপ্তান নাসিরের বলে নুরুল হাসান সোহানের ক্ষিপ্র স্টাম্পিংয়ে ভড়কে যান তিনি। সোহান এক হাতে বল জমিয়ে চোখের পলকে স্টাম্প ভেঙে দেন।
সৌম্য ফিরে গেলেও একপাশে ঝড় অব্যাহত রাখেন রঞ্চি। আবুল হাসানের বলে কাটা পড়ার আগে ২৫ বলে ৪১ করে যান।
বিদেশিদের ভিড়ে চিটাগংয়ের দেশিরা জ্বলতে পারেননি। এনামুল হক বিজয় ৪ বলে ৩ করে বিদায় নেন। এরপর ভ্যান জিল আর সিকান্দার রাজা হাল ধরেন। ১৪তম ওভারে ভ্যান জিল ফেরার সময় দলকে ১৩৮ রানে রেখে যান। রাব্বির বলে আউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ৪০ করেন।
রাজা ৩০ বলে অর্ধশতকে পৌঁছানোর পর ৪৫ বলে ৯৫ করে দিয়ে যান। ৯ চার ও ৬ ছয়ের মার এসেছে তার ব্যাটে।
নাসির এদিন ছয় বোলার ব্যবহার করেন। আবুল হাসান ৪২ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। নাসির ৩৪ দিয়ে নেন একটি। একটি করে নেন ব্রেসনান এবং রাব্বিও।