সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হাতে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মো. ছানোয়ার হোসেনের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় পুরো টাঙ্গাইল জুড়ে তোলপাড় চলছে। তবে ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এমপি ছানোয়ার বলেছেন, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তার কোন অভিযোগ নেই।
‘মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আমার বড় ভাই। তিনি শাসন করতে পারেন এবং আমাদের আদরও করবেন। তিনি যাওয়ার আগে মাথায় হাত বুলিয়ে আমাকে আদর করেছেন,’ বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান এমপি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের ভাই আমাদের অভিভাবক। তিনি আমাদের শাসন করেন আবার আদরও করেন। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।’
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা জানান, ওবায়দুল কাদেরের হাতে শনিবার রাত ৯টায় এমপি মো. ছানোয়ার হোসেন লাঞ্ছিত হন। নাটোর থেকে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যমুনা রিসোর্টে রাতের খাবারের জন্য বিরতি দেন। কটেজে বিশ্রামের সময় তিনি জিজ্ঞেস করেন রাতের খাওয়ার আয়োজন কে করেছে?
ছানোয়ার হোসেন এমপি জানান, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নবনির্বাচিত এমপি হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী তার খাবারের আয়োজন করেছেন। কিন্তু এমপি সোহেল হাজারী ওই সময় উপস্থিত না থাকায় ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের প্রতি ক্ষুব্ধ হন। রাতের খাবার না খেয়েই চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন তিনি।
এ সময় ছানোয়ার হোসেন ওবায়দুল কাদেরকে খাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী এমপি রাস্তায় রয়েছেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসবেন বলে জানান। সাথে সাথেই মন্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে এমপি ছানোয়ারকে চর-থাপ্পড় মেরে লাঞ্ছিত করেন ও অন্যান্য নেতাকর্মীদেরও গালমন্দ করেন। এতে নেতাকর্মীরা হতভম্ব হয়ে যান।
পরে আবার মন্ত্রী রিসোর্ট ছাড়ার আগে এমপি ছানোয়ারের মাথায় হাত বুলিয়ে তাকে সান্ত্বনা দেন।