বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ ও স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আইসিসি সন্দেহ প্রকাশ করার পর বিস্ময় প্রকাশ করেছন কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে।
টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে জয় পাওয়ার পরই তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ম্যাচের আম্পায়াররা। ওই ম্যাচে মাঠে আম্পার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ভারতের এস রবি ও অস্ট্রেলিয়ার রড টাকার।
‘আমি বিস্মিত’- এ শব্দ দিয়ে শুরু করা সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে বলেছেন ‘তাসকিন-সানি তো গত কয়েক বছর ধরে এই অ্যাকশানেই বল করে আসছে। এদের বোলিং অ্যাকশান নিয়ে কেন আইসিসির পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে সে ব্যাপারে আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা’।
বছরখানেক ধরেই এই দুইজন বোলারকে বল করতে দেখছেন উল্লেখ করে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আইসিসি’র ম্যাচ রেফারি বা আম্পায়াররা হয়তো নতুন কিছু দেখেছেন, এর চেয়ে বেশি আর কী বলতে পারি।’
আইসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী আগামী ১৪ দিনের মধ্যে আইসিসি অনুমোদিত কোনো পরীক্ষাগারে তাসকিন ও আরাফাত সানিকে বোলিং অ্যাকশানের পরীক্ষা দিতে হবে। তবে মাঝের এই সময়টায় তারা খেলতে পারবেন।
হাথুরুসিংহে বলেন, মাঠের আম্পায়ার রড টাকার ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইকফটের কাছে বোলিং সন্দেহের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু এই আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারি দুজনই গত বছরের জুনে ভারতের বাংলাদেশ সফরের সময় দায়িত্ব পালন করেন। ওই সিরিজে ভারতকে ২-১ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ। কিন্তু সেই সিরিজের পর তারা দুজন (তাসকিন-সানি) তো অ্যাকশনে কােনো পরিবর্তন আনেননি। তাহলে এখন কেন প্রশ্ন উঠছে। এটা আমাদের খুবই বিস্মিত করেছে।
বাংলাদেশ কােচ বলেন, হ্যাঁ, আমার বিশ্বাস তাদের বোলিং অ্যাকশন পরিচ্ছন্নই আছে।
তাসকিন-সানির আগে বাংলাদেশের পেসার আল-আমিন হোসেন ও স্পিনার সোহাগ গাজীর বিরুদ্ধেও সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশানের অভিযোগ উঠেছিল। তবে পরীক্ষা দিয়ে তারা দুজনই আবার খেলায় ফিরেছেন। এছাড়া বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের অন্যতম সেরা অফস্পিনার সঞ্জিত সাহার বোলিং অ্যাকশন নিয়েও সন্দেহে পোষণ করে আইসিসি।
কোচ হাথুরুসিংহের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। এই বাছাইপর্ব পেরিয়ে গেলে ভারতের গ্রুপে খেলবে বাংলাদেশ। অনেকে এর মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন বলে মত প্রকাশ করেছেন।