পাকিস্তানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম প্রস্তুতি লড়াইয়ে বড় সংগ্রহ গড়েও তালগোল পাকিয়ে দুই উইকেটে ম্যাচ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ।
খেলার আগে উইকেট নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়। একপাশের সীমানা ৩৫ গজের চেয়ে কম। এই উইকেটে সাধারণত ব্যাটিং অনুশীলন করা হয়। অথচ আইসিসি সেখানে অফিসিয়াল ম্যাচ খেলিয়ে দিল!
পাকিস্তান জয়ের জন্য কতটা মরিয়া ছিল, সেটা শেষ চার ওভার দেখলে বোঝা যায়। মিডলঅর্ডারে শোয়েব মালিক ৭২ করে দিয়ে যাওয়ার পর শেষ ওভারগুলোতে ফাহিম আশরাফ এবং হাসান আলী মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন। একজন বাঁহাতি, একজন ডানহাতি হওয়ায় বোলারদের ব্যবহার করতে বিপাকে পড়তে হয় মাশরাফিকে। ২৪ বলে পাকিস্তানিদের দরকার ছিল ৫০ রান। ৪৭তম ওভারে মাশরাফি নিজে আক্রমণে আসেন। তার ওভার থেকে ১৬ রান বেরিয়ে যায়! শেষ তিন ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৩৪। হাতে দুই উইকেট।
৪৮তম ওভারে মাশরাফি ভরসা রাখেন শফিউলের ওপর। এই ওভার থেকে যায় ১০ রান। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ২৪। এরপর আসেন তাসকিন। তিনি দেন ১১ রান। শেষ ওভারে দরকার পড়ে ১৩।
মাশরাফি আবার আক্রমণে আসেন। প্রথম বলেই ছয় হজম করেন! পরের বলে তিন রান। পরের বলে চার!
এর আগে তামিমের শতকের (১০২) দিনে ৬১ করে সৌম্যর চ্যালেঞ্জটা বাড়িয়ে দিয়েছেন ইমরুল। সৌম্য (১৯) অল্প রানে ফিরে গেলেও তামিম-ইমরুলের কল্যাণে ৩৪১ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ভালো শুরুর পর শেষদিকের ব্যাটসম্যানরা চালিয়ে খেলবেন, সেটাই স্বাভাবিক। প্রস্তুতি ম্যাচ বলে সেই মাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। মুশফিক (৪৬) ছাড়া পরে আর কেউ ৩০’র ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। সাকিব ৪৮ মিনিট ক্রিজে ছিলেন। ২৭ বল খেলে ২৩ রান করে বিদায় নেন। রিয়াদ ২৪ বলে ২৯। মোসাদ্দেক ১৫ বলে ২৬ করে থামেন। মিরাজের সংগ্রহ ১৬ বলে ১৩। অধিনায়ক মাশরাফি ৮ বল খেলে ১ রান করেন।
পাকিস্তানকে আটকাতে নেমে মাশরাফি দারুণ শুরু করেন। নিজের প্রথম স্পেলে ৫ ওভারে ১৯ রান দেন। সঙ্গে এক উইকেট।
বাংলাদেশি বোলাররা সবাই সমানহারে উইকেট নিতে থাকেন। ছয়জন মিলে প্রথম আটটি উইকেট ভাগ করে নেন। পাঁচজন একটি করে। মিরাজ দুটি। একজন রানআউট।
মাশরাফি শুরুর দিকে ৮ ওভারে ৪০ রান খরচ করেন। শেষে পরের দুই ওভারে তিনি ২৮ রান দেন! উইকেট মোট একটি। তাসকিন ১ উইকেট নিতে খরচ করেছেন ৮০ রান। হাত ঘুরিয়েছেন ৯ ওভার। শফিউল ইসলাম ৭ ওভারে ৪৬ দিয়ে একজনকে ফেরান। সৌম্যকেও ব্যবহার করেন মাশরাফি। ৫ ওভারে ২৫ রান দিয়ে উইকেট পাননি। ৬ ওভারে ৪১ রান দিয়ে সাকিবের ১ উইকেট। ২৯ রান খরচায় মোসাদ্দেকেরও ১ উইকেট। মিরাজ ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে দুইজনকে সাজঘর দেখান। সেই তাকেই মাশরাফি আর বল দেননি!