চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

তার জন্য এতো ভালোবাসা!

প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যুতে জনসাধারণের কান্না-বিলাপ হতবিহ্বল করেছিল তার সন্তানদেরকেও। সেই কঠিন সময়ে তারা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না জানিয়ে ডিউক অব ক্যামব্রিজ প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি। তাদের শুধু একটাই প্রশ্ন ছিল, অচেনা-অজানা এত মানুষ কাঁদছে কেনো?

১৯৯৭ সালের ৩১শে আগস্ট প্রিন্সেস ডায়ানা এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তখন প্রিন্স উইলিয়ামের বয়স ছিল ১৫ বছর আর প্রিন্স হ্যারির ১২ বছর।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির একটি তথ্যচিত্রে দ্য ডিউক এবং প্রিন্স হ্যারি এই কথা বলেন, যা ২৭ আগস্ট বিবিসি ওয়ানে সম্প্রচারিত হবে। এতে উইলিয়াম ও হ্যারি ওই সময়কার কিছু স্মৃতি তুলে ধরেছেন।

এই তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করছেন পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা হেনরি সিঙ্গার। এতে প্যারিসে গাড়ি দুর্ঘটনায় ডায়ানার মৃত্যুর পর সাতদিনের ঘটনাবলী তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে রাজনীতিক, পরিবার ও বন্ধুদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। ডায়ানার মৃত্যুর ২০ বছর পূর্তিতে এই তথ্য চিত্র নির্মাণ করা হচ্ছে।

মায়ের মৃত্যুর পর জনসাধারণের সাথে সাক্ষাতে প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি
মায়ের মৃত্যুর পর জনসাধারণের সাথে সাক্ষাতে প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি

শোকাতুর সেই সময়ের ‘অস্বাভাবিক পরিবেশের’ কথা স্মরণ করে প্রিন্স উইলিয়াম বলেন, লোকজনকে কাঁদতে দেখে মনে হয়েছিল, তোমরা তো তাকে চেনোই না, তবে কেন এতটা বিমর্ষ তোমরা? তাদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন সেই সময়কে এভাবেই স্মরণ করেন তিনি।

কেনসিংটন প্যালেসের বাইরে রেখে যাওয়া ফুল দেখছেন প্রিন্স চার্লস ও তার ছেলেরা
কেনসিংটন প্যালেসের বাইরে রেখে যাওয়া ফুল দেখছেন প্রিন্স চার্লস ও তার ছেলেরা

তবে পরবর্তীতে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন প্রিন্সেস ডায়না জনসাধারণের কতটা জুড়ে ছিলেন।

ডায়নার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে প্রিন্স ফিলিপ, প্রিন্স উইলিয়াম, আর্ল স্পেনসার, প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্স অব ওয়েলস

২০ বছর আগে ডায়ানার মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে পড়েছিল পুরো ব্রিটেন। এই আবেগের ঢেউ যাতে মা-হারা দুই ছেলের উপর প্রভাব না পড়ে সেজন্য রক্ষাকর্তায় ভূমিকায় নিয়েছিলেন রানি। ফলে ওই সময়কার পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না উইলিয়াম ও হ্যারি।

জনসাধারণের সাথে প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি

উইলিয়াম বলেন, ওই সময় আমার দাদি তার দুই নাতিকে আগলে রাখতে চেয়েছিলেন। বাবাও একই কাজ করেছেন। দাদি ইচ্ছা করেই পত্রিকাগুলো সরিয়ে রাখতেন যাতে করে আমরা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে না পারি। ফলে বাসায় এ বিষয়ক কিছুই ছিল না। মায়ের মৃত্যু নিয়ে কী ঘটছে আমরা কিছুই জানতাম না।

মায়ের মৃত্যুর পাঁচ দিন পর, শুভাকাঙ্ক্ষীর দেয়া ফুল হাতে প্রিন্স হ্যারি
মায়ের মৃত্যুর পাঁচ দিন পর, শুভাকাঙ্ক্ষীর দেয়া ফুল হাতে প্রিন্স হ্যারি

সবার কাছ থেকে দূরে রেখে একান্তে শোক পালনের সুযোগ দেওয়ার জন্য উইলিয়াম রানির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।