চট্টগ্রাম থেকে: হাতে পেয়ারার থালা। কখনো দাঁড়িয়ে মুখে পুরছেন, কখনো বসে। অনুশীলনে সবার আগে আগে। পেয়ারা রেখে কিছুক্ষণ ক্যাচিং অনুশীলন করলেন। তারপর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ। কথা সেরেই আবার সেই পেয়ারার দিকে ছুটলেন। এই তামিম যেন পুরোদস্তুর ঘরের ছেলে। সবদিক সামলাতে সামলাতে থালা হাতে নিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনকে সময় দিলেন ছবি তোলার।
-‘বাড়ির পেয়ারা খাচ্ছেন? দৃশ্যটা ক্যামেরায় ধরে রাখতে চাই।’
-প্রশ্ন শুনে তামিম হাসেন, ‘দাঁড়ান, খেলা দেখি আর তোলেন।’
এর আগে সংবাদ সম্মেলন সারেন তামিম। সেখানে বলেন, ‘যেখানেই খেলি না কেন, আমি চিটাগাংয়ের লোকালবয়। আমাকে সবাই সমর্থন করবে বলে আশা করি।’
তামিম এবার কুমিল্লায় খেলায় বিপিএল ঘিরে স্থানীয় দর্শকদের ভেতর আবেগ তেমন একটা চোখে পড়ছে না। স্থানীয় কর্মকর্তারাও খুব একটা প্রচারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত টিকিট নিয়ে সিলেটের মতো হাহাকার চোখে পড়েনি। তবে ভেতরে ভেতরে বিভিন্ন উপায়ে ছুটির দিনের টিকিট ঠিকই বিক্রি হয়ে গেছে!
বিপিএলের পঞ্চম আসর শুরু হয় সিলেট দিয়ে। পরে ঢাকা ঘুরে তামিমের শহরে। আগের দুই পর্বেই চিটাগংয়ের বিপক্ষে কুমিল্লা নিজেদের নির্ধারিত ম্যাচ খেলে ফেলেছে। তাই ঘরের মাঠে ভাইকিংসদের বিপক্ষে নামতে হবে না তামিমকে। ব্যাপারটি নিয়ে হাসতে হাসতে তামিম বললেন, ‘আমি খুব ভাগ্যবান যে চিটাগংয়ের বিপক্ষে আমার খেলা হচ্ছে না। কারো মধ্যে রাগও থাকলে সেটা দেখাতে পারবে না।’
রসিকতার পরই ঘরের ছেলের দাবি, ‘দিন শেষে আমি লোকালবয়। আমি যেখানে খেলি না কেন দর্শকদের সমর্থন পাই। এবারও পাবো।’
শুক্রবার তামিমের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচ নেই। তবু তারা সবার আগে অনুশীলনে, সকাল সাড়ে দশটায় হোটেল র্যাডিসন থেকে বের হয়ে মাঠে চলে আসেন।
বিপিএলের এই আসরে প্রতি দল পাঁচজন করে বিদেশি খেলোয়াড় খেলাচ্ছে। শুরুতে বিদেশিরাই আলো ছড়াচ্ছিলেন। কিন্তু ঢাকা পর্ব থেকে আবার পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। বিদেশিদের সঙ্গে দেশিরাও জ্বলছেন। দেশিদের এমন পারফরম্যান্সে তামিম খুশি হলেও স্পষ্ট করে বললেন, তিনি সবসময় চারজন করে বিদেশি খেলানোর পক্ষে।
‘চারজন বিদেশি হোক, পাঁচজন বিদেশি হোক, পারফরম্যান্স করলে ভাল লাগে। বিদেশিদের ভিড়ে দেশি ক্রিকেটাররা ভাল ইনিংস খেললে এটা আমাদের ক্রিকেটের জন্যই ভাল। আমি সব সময় চারজন বিদেশির পক্ষে।’