চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

তাজরীনে অগ্নিকাণ্ড: পাঁচবছরে মাত্র ৭ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ

আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গত পাঁচ বছরে মাত্র ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিতে পেরেছেন আদালত।

ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জজ ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন এই মামলায় মোট  সাক্ষী ১০৪ জন। এখন পর্যন্ত মাত্র ৭ জনের সাক্ষ্য  নেয়া সম্ভব হয়েছে। যে সাত জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে তারা হলেন, আশুলিয়া থানার এসআই খায়রুল ইসলাম, মামলার রের্কডিং কর্মকর্তা এ এসআই শাহজালাল মিয়া, আশুলিয়া এলাকার মো. সোনা মিয়া, তাজরীনের সুয়িং অপারেটর মাহে আলম, অপারেটর রাকিব হাসান, অপারেটর লাইলী বেগম ও আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের সবুর মন্ডল।  ঠিকমতো সাক্ষী হাজির করতে না পেরে এই মামলায় বেশ কয়েকবার সময় নেয় রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১১ জন শ্রমিকের মৃত্যু  এবং একশ এর বেশি শ্রমিক দগ্ধ ও আহতের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে।  এরপর ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি।

অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে ‘অপরাধজনক নরহত্যা’ ও ‘অবহেলার কারণে মৃত্যু’ সংঘটনের অভিযোগ এনে বলা হয়, ভবনটির নকশায় ত্রুটি ও জরুরি নির্গমনের পথ ছিল না এবং আগুন লাগার পর শ্রমিকরা বাইরে বের হতে চাইলে নিরাপত্তাকর্মীরা কলাপসিবল গেট লাগিয়ে দেয়।

২০১৫ সালের  ৩ সেপ্টেম্বর ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।তাজরীনের মালিক দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার সহ আসামিরা হলেন- তাজরীনের লোডার শামীম, স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমিন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল আমিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনোয়ারুল, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জুর ও শহীদুজ্জামান দুলাল। এদের মধ্যে মোবারক ও শহীদুজ্জামান পলাতক।

২০১৮ সালের ১১ জানুয়ারি  এই মামলাট আগামী ধার্য তারিখে অভিযোগপত্রে উল্লেখিত ১৬ থেকে ২১ নম্বর সাক্ষীদের হাজির করাতে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপারের মাধ্যমে পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে।

ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ও নিখোঁজ পোশাকশ্রমিকের পরিবার এবং আহত পোশাকশ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল ও তাজরীন ক্লেইম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রাস্ট।