দলের তরুণ ক্রিকেটাররা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। হাল ধরেছেন সিনিয়ররা। তারাই সেমিতে টেনে তুলেছেন বাংলাদেশকে। তবে তরুণরা ভালো না করলেও আস্থা হারাচ্ছেন না মাশরাফি বিন মর্তুজা। অধিনায়কের বিশ্বাস এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আরো পরিণত হয়ে উঠবে তরুণরা। আর ২০১৯ বিশ্বকাপেই তাদের দেখা যাবে পরিণত পারফর্মার হিসেবে।
একে তো অচেনা ইংলিশ কন্ডিশন, সঙ্গে আবার বিশ্বের সেরা আট দলের আসর। মাঠে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এমন জায়গায় তরুণরা গিয়েই খুব ভালো খেলে ফেলবে- এতটা প্রত্যাশা করেন না মাশরাফি। তাই এখনই তরুণদের আগলেই রাখছেন। তবে তাদের খেলায় যে উন্নতি আনতে হবে সেটিও বলতে ভোলেনিনি ম্যাশ।
‘তরুণদের জন্য এসব স্টেজ সহজ না। একই সাথে ওদের উন্নতিও করতে হবে। সিনিয়রদের ভালো খেলাটা সবসময়ই জরুরী। তরুণ প্লেয়ারদেরও ভালো খেলতে হবে। তবে ওদের নিয়ে ভয় নেই। দারুণ ভবিষ্যৎ আছে ওদের। ২০১৯ বিশ্বকাপ যখন আসবে, অনেক দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারবে। আর দুই বছর পর অনেক পরিণত হবে। এখন পরিণত হওয়ার সময়। যে পর্যায়ে ওরা খেলতে পেরেছে, তাতে ওদের উচিত এখান থেকে আরও বেশি উন্নতি করা। সেটা করতে পারলে ২০১৯ বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারবে।’
তামিম, রিয়াদ, সাকিবদের সঙ্গে সৌম্য, সাব্বির, তাসকিন, মোস্তাফিজের মতো তরুণরা অবদান রাখতে পারলে আরও সুখকর হতে পারতো বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিশন। তবে যে পারফরম্যান্স হয়েছে সেটিও গর্ব করার মতোই।
মাশরাফিও দলের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করলেন সেভাবেই, ‘সেমিফাইনাল খেলেছি এটা অনেক বড় ব্যাপার। বিশেষ করে যে গ্রুপ থেকে খেলেছি। আমাদের জন্য সহজ ছিল না। সেমির সুযোগটা নিতে পারলে হয়তো আরেকটা ম্যাচ থাকতো। কিন্তু পারিনি। এটা হতাশার। তার মানে এই না এখানেই থেমে যাচ্ছে। সামনে যে সিরিজ ও টুর্নামেন্ট আছে সেখানে ভালো করতে হবে।’
সাসেক্সে প্রস্তুতি ক্যাম্প, আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ আর ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ৫০ দিনের সফর শেষে শনিবার সকাল পৌনে ১০টায় ঢাকায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে অতীত, বাস্তবতা ও আগামী নিয়ে এভাবেই কথা বললেন মাশরাফি।
সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে ক্রিকেট নিয়ে যে হইচই ছিল সেটি থেমে যায় ভারতের বিপক্ষে বড় হারের পর। বড় অর্জন নিয়ে ফিরলেও বিমানবন্দরে উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা তাই কিছুই ছিল না। বিসিবির সহ-সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী ফুল দিয়ে বরণ করেছেন মাশরাফিদের। ফুল হাতে এসেছিলেন ক্রিকেট সাপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন সদস্যও। আনুষ্ঠানিকতা সেরে নীরবেই বিমানবন্দর থেকে যার যার বাসার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ক্রিকেটাররা।
তবে সবাই দেশে ফেরেননি। কোচিংস্টাফরা ছুটিতে চলে গেছেন যার যার দেশে। মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, ইমরুল থেকে গেছেন ইংল্যান্ডে। কয়েকদিন ছুটি কাটিয়ে ফিরবেন তারা। পরিবার নিয়ে আলাদা ফ্লাইটে আজই ঢাকায় পৌঁছানোর কথা সাকিবের।