ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে রাত আটটার মধ্যে সকল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে তাদের কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশে বিস্ময় প্রকাশ করে ২৪ জন সাবেক ছাত্রনেতা বলেছেন: মুক্ত চিন্তার সূতিকাগার খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘বদ্ধ চিন্তার’ কেন্দ্রে পরিণত করার অপচেষ্টা চলছে। এই অপচেষ্টা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
রোববার দেয়া এক বিবৃতিতে ২৪ জন সাবেক ছাত্রনেতা এ ধরনের সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। টিএসসিতে সময় বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
সাবেক এই ছাত্রনেতারা বলেন: এতে সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ আর অন্ধকারের অপশক্তি উৎসাহিত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও টিএসসি এদেশের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক আন্দোলন, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সূতিকাগার ও সকল গণতান্ত্রিক সংগ্রামের অন্যতম জায়গা। প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক বীজ বপনের অন্যতম ক্ষেত্র।
‘এই সিদ্ধান্তের ফলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নস্যাৎ করার চক্রান্ত বাস্তবায়ন করা আরো সহজ হবে। দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এ ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করতে চাইবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে চাই। যে বিশ্ববিদ্যালয় হবে শিক্ষা, মুক্ত চিন্তা ও সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম জায়গা। এর জন্য পড়াশুনার পাশাপাশি সামাজিক সাংস্কৃতিকসহ নানামুখী কর্মকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে সম্পৃক্ত করতে প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে হবে। অথচ প্রশাসন উল্টোপথে হাঁটতে চাইছে।’
বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ২৪ জন সাবেক ছাত্রনেতা হলেন: ডা. মোস্তাক হোসেন, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশিদ ফিবোজ, রাগিব আহসান মুন্না, রাজেকুজ্জামান রতন, আসলামখান, হাসান হাফিজুর রহমান সোহেল, শরীফুজ্জামান শরীফ, হাসান তারিক চৌধুরী সোহেল, খালেকুজ্জামান লিপন, লুনা নূর, বাকি বিল্লাহ, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, মানবেন্দ্র দেব, ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, রফিকুল ইসলাম সুজন, বাপ্যাদিত্য বসু, আবুল কালাম আজাদ, হুসাইন আহমেদ তফসির, হাসান তারেক, লাকি আক্তার, নিখিল দাস, শামসুল আলম সজ্জন, জনার্দ্দন দত্ত নান্টু।