চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঈদযাত্রা এবছর কেমন হবে?

রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ২২টি জেলার সড়ক পথের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। অপেক্ষাকৃত চাপা এই মহাসড়কে নানা কারণে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত রাস্তা চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ অনেকদিন ধরে এগিয়ে চলছে।

সাধারণ দিনগুলোতেও এই মহাসড়কে যানজট লেগেই আছে। ঈদযাত্রায় কেমন হবে এই মহা-সড়কের অবস্থা, তা নিয়ে ভাবনায় সড়কের নিরাপত্তাসহ ব্যবস্থাপনার কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পরই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসড়ক ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক। এ মহাসড়ককে প্রায় সারাবছরই লেগে থাকে যানজট। এর মধ্যে যেকোন উৎসবকে সামনে রেখে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ফলে প্রতিবছর ঈদ যাত্রায় মহাসড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের।

হাইওয়ে পুলিশের দাবি এবার ঈদের ৫ দিন আগে থেকেই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকটাই যানজটমুক্ত থাকবে এ মহাসড়ক।

বিগত বছরের তুলনায় এবার নিজেদের অধিক তৎপরতার কথা জানিয়েছেন,  এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।

যানজট নিরসনে নিজেদের বিভিন্ন উদ্যেগের কথা জানিয়েছেন টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম।

তবে মির্জাপুরের ধেরুয়া রেল ক্রসিং-এ ঢাকা-উত্তরবঙ্গের ১২টি ট্রেন দিনে ২৪ বার রেল ক্রসিং করে থাকে। এতে সারা দিনে গড়ে প্রায় দেড় ঘন্টার বেশি সময় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।

যাত্রীরা বলছেন, চারলেনে রুপান্তরিত হলে কমে যাবে এই মহাসড়কের যানজট। আর সিএনজি ও ফিটনেস বিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ করা গেলে অনেকটাই সুখকর হবে তাদের ঈদযাত্রা। সেই সাথে ভোগান্তিও কমবে তাদের।

তবে চালকরার বলছেন, গেলো বছরগুলোর তুলনায় এবার অনেকটাই ভালো রয়েছে মহাসড়কের অবস্থা। ভাঙ্গা সড়ক না থাকায় অনেকটাই নির্বিঘ্নে গাড়ি চালাতে পারছেন তারা। তবে চারলেনে উন্নতীকরণ কাজের জন্য প্রায়ই পড়তে হয় ভোগান্তিতে।

বিগত দিনের ন্যায় আসন্ন ঈদের মহাসড়ককে যানজটমুক্ত রাখতে ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহণ করেছে টাঙ্গাইল সড়ক ও পুলিশ বিভাগ।

এবার যানজট নিরসনে জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সমন্বয়ে পাঁচশতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনা ও প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয় দেখা না দিলে অনেকটা সহজেই মহাসড়ক পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে যাত্রীরা, এমনই ধারণা সংশ্লিষ্টদের।