চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

৫৭ ধারায় মামলা: সমাধানের চেষ্টা করছে ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে একই বিভাগের শিক্ষক আবুল মনসুর আহাম্মদের করা ৫৭ ধারার মামলাটি আপাততঃ প্রত্যাহার হচ্ছে না। সহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিভাগটির সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সংবাদকর্মীদের প্রতিবাদ সমাবেশের পর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সভা ডেকে কোনো ফলাফলে আসতে পারেনি একাডেমিক কমিটি।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ড. ফাহমিদুল হক যদি ক্লোজ গ্রুপটিতে করা পোস্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তাহলে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করবেন ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ।

রোববার একাডেমিক কমিটির সভা শুরু হয় বেলা ৩ টায় চলে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। তবে আড়াই ঘণ্টার এই সভাতেও বিভাগের শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরেক শিক্ষকের দায়ের করা  ৫৭ ধারার মামলা নিয়ে কার্যত কোনো সমাধানে পৌঁছানো যায়নি।

এই সভায় নিজেদের অবস্থান কী ছিলো তা জানতে ড.ফাহমিদুল হক ও ড. আবুল মনসুরের  মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পায়নি চ্যানেল আই অনলাইন।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মফিজুর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন,‘ একাডেমিক কমিটি বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে।’

আজকের সভা নিয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানানো সম্ভব নয় বলে জানান বিভাগের প্রধান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়াকে বিষয়কে কেন্দ্র করে ফেসবুকের একটি ‘ক্লোজ গ্রুপে’ মতামত প্রকাশ করেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদুল হক। এর জের ধরে তার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ৫৭ ধারায় মামলা করেন একই বিভাগের অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ।

ড. ফাহমিদুল হক ও ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ

এরপর বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন মহল থেকে মামলা প্রত্যাহার করে দ্রুত ৫৭ ধারার মতো আইন বাতিলের দাবি ওঠে।

আজ রোববার সকাল ১০ টায় ড. ফাহমিদুলের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৫৭ ধারার মামলা প্রত্যাহার ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের এই ধারাটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে বিভাগটির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী,বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও সংবাদকর্মীরা।৫৭ ধারার মামলা প্রত্যাহার ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের এই ধারাটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

সমাবেশে ৫৭ ধারাকে ‘কালা কানুন’ আখ্যায়িত করে তা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদুল হককে অব্যাহতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে লজ্জার হাত থেকে বাঁচানোর আহ্বান জানান তারা।

এর আগে গত ১৪ জুলাই শিক্ষক ড. ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলা ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহার করার সময় বেঁধে দেয় বাংলাদেশ লেখক ঐক্য। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না করলে মামলা দায়েরকারী শিক্ষককে সামাজিকভাবে বয়কট করার আহ্বান জানায় তারা।