দেশে গ্রামাঞ্চলের সাড়ে ৩ শতাংশ, আর শহুরে ১১ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাদের ৩০ শতাংশ আবার ভুগছে চোখের রেটিনার রক্তনালীর সমস্যায়। বিশেষজ্ঞকরা বলছেন, ডায়াবেটিস জনিত চোখের সমস্যার কারণে আক্রান্তদের পাঁচ ভাগের বেশি মানুষ অন্ধত্বে ভুগলেও এ বিষয়ে সচেতনতা নেই। আক্রান্তদের অর্ধেকও জানে না যে তারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন।
দীর্ঘ দিন ধরে চোখের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ সমস্যায় ভোগা এমনই একজন তরুণ বয়সী ‘কনা’। চিকিৎসকরা বলছেন, তিনি চোখের রেটিনার রক্তনালির সমস্যায় আক্রান্ত। কিন্তু হাসপাতালে আসার পর প্রথম জানতে পারেন যে তিনি ডায়াবেটিসে ভুগছেন।
মধ্যবয়সী খুরশিদা বেগম, তিনি কয়েক বছর ধরেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। চোখের নানান সমস্যায় ভুগে এক চোখের দৃষ্টিশক্তিও হারিয়েছেন। কিন্তু তিনি জানেন না যে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণেই তার চোখের রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাজধানীর আগাঁরগায় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে ২০১৪ সাল থেকে চালু ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি ক্লিনিকে ১২ হাজার ডায়াবেটিক রোগী সনাক্ত হয়েছে। তাদের অনেকেই চোখের রেটিনায় রক্তনালীসহ নানান জটিলতায় আক্রান্ত।
বিশেজ্ঞরা বলছেন, দেশে অন্ধত্বের মূল কারণ যদিও ছানি, কিন্তু ডায়াবেটিসজনিত কারণে অল্পবয়সে ও কর্মক্ষম অবস্থায় অন্ধত্বের ঝুঁকিতে আছে অনেক মানুষ।
এমন বাস্তবতায় নারী ও ডায়াবেটিস এবং সকল গর্ভধারণই হোক পরিকল্পিত শ্লোগানে পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: