চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ট্রাম্প-পুতিন-কিম জং উন যখন রিফিউজি

রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়। বাঙালির এই বাগধারাটির বাস্তব এবং মর্মস্পর্শী দৃষ্টান্ত দেখা যাচ্ছে সিরিয়া-লিবিয়ায় । বিশ্বমোড়লদের দাপুটে রেষারেষিতে, তেল-অস্ত্র ব্যবসার লোভে ক্ষত-বিক্ষত দেশগুলো। চেনা বৃষ্টির বদলে বোমা, প্রশান্তির বাতাসের বদলে সেখানে এখন কণ্ঠনালী জ্বালিয়ে দেয়া সারিন গ্যাস।

পরাশক্তিদের ক্ষমতা,অস্ত্রের ঝনঝনানিতে ঘুম উড়ে গেছে,স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়েছে দামেস্কে-ত্রিপোলীতে। একসময়ের শান্তির নীড় ছেড়ে পরিযায়ী পাখির মতো ভিন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে লাখো মানুষ।

কাটাতারের সীমান্তে সীমানাহীন হতাশা নিয়ে ছোট্ট অভুক্ত মেয়েটাকে নিয়ে মায়াভরা চোখে তাকিয়ে আছেন কোনো সিরিয় পিতা আশ্রয়-খাদ্যের আশায়। অথচ যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা বিশ্ব নেতারা খেলা বন্ধ করছেন না দিচ্ছেন না শরণার্থীদের-উদ্বাস্তুদের আশ্রয়।

চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল

এমন মানবিক সংকটে বিশ্ব নেতারা নিশ্চুপ। নেতাদের এমন নির্বিকার থাকাটা চিত্রশিল্পী আবদাল্লা আল ওমারি মানতে পারেন নি। তাই তাদের অমানবিকতাকে কিছুটা মানবিক রূপ দিয়ে লজ্জা দিতেই যেনো ট্রাম্প,পুতিন, অ্যাঙ্গেলা মের্কেল, এরদোগানদের মতো বিশ্ব নেতাদেরকে রিফিউজি চরিত্রে আঁকলেন তিনি।

ওমারির বাড়ি ছিলো সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে। ২০১২ সালে পরিস্থিতি খারাপ দিকে মোড় নেয়ায় উপায় না দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। অথচ আজ ৫ বছরেও সিরিয় যুদ্ধ থামেনি। বরং মার্কিন-রুশ স্নায়ুযুদ্ধের পর নতুন এক ছদ্মবেশি যুদ্ধের উর্বর ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে তাঁরই জন্মভূমি।

রিফিউজি বেশে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান

শুধু সিরিয়া নয় উস্কে দেয়া গৃহযুদ্ধে ভাইয়ে-ভাইয়ে লড়াইতে লিবিয়াতেও সংকটে মানবতা। প্রাণ হাতে নিয়ে ছেলে-মেয়েদের একটু নিরাপদ আশ্রয় দিতে কত সিরিয়-লিবিয় শত মাইল হেঁটে দাঁড়িয়েছে সীমান্তে, উঠেছে মানুষে বোঝাই নৌকায়। সেই নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবে কত সৈকতে ঠেকিয়েছে ফুলে ওঠা লাশ।

সিরিয় চিত্রশিল্পী আবদাল্লা আল ওমারি

অথচ সিরিয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ, এরদোগানেরা এখনো পরাক্রমশালীদের তোষামোদে ব্যস্ত। ওমারির ক্ষোভ তাই কথা বললো তুলিতে। ফ্রান্স,জার্মানির ওলাঁদ,সারকোজি, বারাক ওবামাকেও দেখা গেলো রিফিউজির বেশে, খাবার লাইনে থালা হাতে।

মিসাইল খেলনা হাতে কিম জং উন

নিছক খেলতে খেলতে বিশ্ববাসীকে নতুন ভাবে আতঙ্কিত করা নর্থ কোরিয় নেতা কিম জং উন আছেন ওমারির ছবিতে। একেবারেই সুবোধ এক কিশোর শরণার্থীর হাতে একটি খেলনা মিসাইল।