চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ট্রাম্প নিযুক্ত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদত্যাগ

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন আজ মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণ করার আগে ফ্লিনের রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, এই অভিযোগে ‍পদত্যাগ করলেন ফ্লিন।

এর আগে মাইকেল ফ্লিনের সঙ্গে রুশ কর্তৃপক্ষের সংযোগ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা খতিয়ে দেখছেন বলে জানায় হোয়াইট হাউস।

সোমবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার এক বিবৃতিতে বলেন, প্রেসিডেন্ট পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। ভাইস-প্রেসিডেন্টের সঙ্গে  ফ্লিনের কোন বিষয়ে কথা হয়েছে, সে সম্পর্কে জানতে  তিনি ভাইস-প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও সম্পর্কে কথা বলছেন। এখানে তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে।

উল্লেখ্য, বিতর্কটা নতুন করে সামনে আসার পর তুমুল চাপের মুখে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন। রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফ্লিনের যোগাযোগ থাকা নিয়েই চলছে ওই বিতর্ক। ডিসেম্বরে রুশ দূত সের্গেই কিসলিয়াকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন ফ্লিন।

কয়েকদিন ধরে হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তারা রাশিয়ার দূতের সঙ্গে  ফ্লিনের যোগাযোগ সংক্রান্ত অভিযোগগুলো পর্যালোচনা করছেন। ট্রাম্পের দায়িত্বগ্রহণের পর রাশিয়ার ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ফ্লিন আলোচনা করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তারা। ফ্লিন যদি তা করে থাকেন তবে তা হবে আইনের লঙ্ঘন। কেননা আইন অনুযায়ী, বেসরকারি নাগরিকদের পররাষ্ট্র নীতিমালাসংক্রান্ত কাজে জড়িত হওয়া নিষিদ্ধ।

 

জানা গেছে, ফ্লিন রুশ রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়াকের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য ভাইস-প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। অবশ্য ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার সাংবাদিকদের জানান, ফ্লিন এবং কিসলিয়াক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনও আলোচনা করেননি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো সূত্রে জানা গেছে, ফ্লিনের জায়গায় নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়ার কথা আলোচনা করছেন ট্রাম্পের জামাতা জেয়ার্ড কুশনার।

তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ট্রাম্প ও হোয়াইট হাউসকে গত মাসে ফ্লিনের বিষয়ে সতর্ক করেছিল বিচার বিভাগ। তাদের দাবি, ব্ল্যাকমেইলের কারণে ফ্লিন রুশ প্রশাসনের পক্ষে কাজ করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মাইকেল ফ্লিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার একজন সাবেক পরিচালক। শুরু থেকেই ট্রাম্পকে সমর্থন করে যাওয়া ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কোন্নয়নের স্বপক্ষের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি।