মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক কিনা – এমন প্রশ্ন রেখেছেন দেশটির একটি আপিল আদালত।
ইরাক, ইরান, সিরিয়াসহ ৭টি মুসলিম-প্রধান দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী ও ভ্রমণকারী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্পের সই করা নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে সিয়াটলের এক ফেডারেল বিচারক রাষ্ট্রীয়ভাবে স্থগিতাদেশ জারি করেন। এর প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের পক্ষে করা আপিলের শুনানিতে প্রশ্নটি রাখেন বিচারক রিচার্ড ক্লিফটন।
রিচার্ড ক্লিফটন স্যান ফ্রান্সিসকোর আপিল আদালতের তিন বিচারপতির একজন। শুনানিতে তিনি প্রশ্ন করেন, যে নিষেধাজ্ঞা বিশ্বের মাত্র ১৫ শতাংশ মুসলিমকে প্রভাবিত করে, তা পুরো মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক হতে পারে কিনা।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে আদালতে একঘণ্টা পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন চলে। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে আপিলের রায় দেবেন আদালত। তবে এই নবম মার্কিন সার্কিট কোর্ট অব অ্যাপিলস যে সিদ্ধান্তই নিক, সেটি আবার সুপ্রিম কোর্টে উঠবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সোমবার ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার পক্ষে আপিল আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ আবেদন জানায়, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যেন নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থগিতাদেশ তুলে দেয়া হয়।
১৫ পৃষ্ঠার ওই ব্রিফে বলা হয়, ৭টি মুসলিম-প্রধান দেশের জনগণের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল ‘প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার আইনত বৈধ প্রয়োগ’ এবং নিষেধাজ্ঞাটি মুসলিমদের ওপর আরোপ করা হয়নি।