চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ট্রাম্পের দ্বিতীয় দিন: প্রার্থনা, সিআইএ, গণমাধ্যমকে আক্রমণ

আমেরিকার সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট তার অফিসে নিজের দ্বিতীয় দিনটি কাটালেন প্রার্থনা, সিআইএর সঙ্গে দেখা করে এবং গণমাধ্যমকে আক্রমণের মধ্যে দিয়ে।

অফিস শুরুর দ্বিতীয় দিনেই সিআইএর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা শুরু করেন ট্রাম্প। আর এরপরই সারাদেশে বিক্ষোভকারীদের কাভারেজের ব্যাপারে মিডিয়াকে আক্রমণ করেন।

তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে শুক্রবারের মিছিলটিকে উপস্থাপন করা হয়েছে।

অফিসের দ্বিতীয় ট্রাম্প সিআইএর হেডকোয়ার্টারে ভ্রমণ করেন। এজেন্সির সিনিয়র নেতাদের ব্রিফিং শোনেন। এবং নিরাপত্তা সংস্থার ১০০ জন মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।

ট্রাম্প বলেন, ইনটেলিজেন্স কমিউনিটি এবং সিআইএর ব্যাপারে ট্রাম্প যেভাবে ভাবেন সেভাবে আর কেউ ভাবে না। আমি আপনাদের পেছনে আছি এবং আমি জানি আপনারা হয়তো কখনো সেই ব্যাকআপটুকু কখনো পাননি যেটা আপনারা চেয়েছিলেন।

সিআইএর সঙ্গে ট্রাম্পের এই মিটিং ছিলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এর আগেই নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ে সিআইএর সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ তৈরি করেছিলেন ট্রাম্প। এমনকি তিনি নিয়মিত গতানুগতিক প্রেসিডেন্টের প্রতি হুমকি বিষয়ে ব্রিফ নিবেন কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ ছিলো অনেকের।

ট্রাম্পের বক্তব্য খুব ভালোভাবেই গ্রহণ করেন সিআইএ’র কর্মকর্তারা। তবে সেখানেই নিজের বক্তব্য পরিবর্তন করে মিডিয়াকে আক্রমণ করে বসেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের সঙ্গে আমার যুদ্ধ চলমান। তারাই বিশ্বে বসবাসকারী সবচেয়ে অসৎ মানব। তারা এমন কিছু পরিস্থিতি তৈরি করেছেন যেন আমি বরাবর ইনটেলিজেন্স কমিউনিটির বিরোধী।

বামে: ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ; ডানে: ২০০৯-এ ওবামার শপথ গ্রহণ (দু’টো ছবিই ওয়াশিংটন মনুমেন্ট থেকে তোলা)

এছাড়াও ক্যাপিটল হিলে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে অল্প মানুষের জমা হওয়ার ছবি প্রকাশ করায়ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ‘অসততা’র অভিযোগ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, ইউএস ক্যাপিটলে তিনি কথা বলার সময় সামনে থাকা জনগণের ভীড় ওয়াশিংটন মনুমেন্ট পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে তার উল্টোটা।

পরে হোয়াইট হাউজ প্রেস সচিব সাংবাদিকদের বলেন, “এটাই ছিল সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে হওয়া শপথ অনুষ্ঠান, ব্যস।”