মার্কিন ব্যবসায়ী নিক স্ট্যাফোর্ডের সাথে ডিপার্টমেন্ট অব মোটর ভেহিকেলসের (ডিএমভি) ট্যাক্স পরিশোধ সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে সমস্যা হয়। তথ্য চেয়ে না পাওয়া ও হয়রানি এবং এর প্রেক্ষিতে করা মামলাও খারিজ হয়ে গেলে তিনি এক অদ্ভুত কাণ্ড করে বসেন। ৩ লাখ পয়সা দিয়ে তিনি তার ৩ হাজার ইউএস ডলারের ট্যাক্স বিল পরিশোধ করেন।
পাঁচটি ঠেলাগাড়িতে করে পয়সাগুলো নিয়ে যেতে নিজের পকেট থেকে আরও ৪০০ ইউএস ডলার খরচ করতেও পিছপা হননি ভার্জিনিয়ার কেডার বাফের এই বাসিন্দা। এত বিপুল পরিমানের পয়সা, যার ওজন ৭২৬ কেজি নিয়ে বিপাকে পড়ে ডিএমভি। তাদের স্বয়ংক্রিয় গণনা যন্ত্রও এত পয়সা গুণতে হিমশিম খায়। সেখানকার ১১ জন কর্মকর্তার সহায়তায় কমপক্ষে সাত ঘন্টা সময় নিয়ে এগুলো গুণে নেয়া হয়।
নিক্সের নিজের তিনটি ঠিকানা থাকায় তিনটি গাড়ির রেজিস্টার এবং বিক্রয় কর কিভাবে পরিশোধ করবেন তাই নিয়ে দ্বিধায় পড়েন। এর জন্য ডিএমভির কাছে তথ্য চেয়েও না পাওয়ার অভিযোগ তার।
ট্যাক্স সম্পর্কে জানতে ডিএমভির এক স্টাফের অসহযোগিতার ফলে আদালত পর্যন্তও গিয়েছিলেন নিক। ডিএমভি এবং তার কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা তার তিনটি মামলাও আদালত খারিজ করে দেয় এই সপ্তাহের শুরুতে। তবে তাকে প্রয়োজনীয় নাম্বারটি দেয়া হয় সেখান থেকে।
তিনি বিবিসিকে বলেন, তার এই পদক্ষেপ সরকারকে জনগণের অনুসন্ধানের বিষয়ে আরও সচেতন করে তোলার জন্য।
আইনী মারপ্যাচে পরাস্ত হয়ে এবার ঠিকই আইনের বাণী শুনিয়ে দিলেন স্ট্যাফোর্ড। বলেন, “ডিএমভিকে এই অস্বাভাবিক পরিশোধ গ্রহণ করতে হবে। কারণ কয়েন বিষয়ক ইউএস আইনে আছে, যে সকল ঋণ, ট্যাক্স ও বাকি পরিশোধের জন্য কয়েন বৈধ।”