অকল্যান্ডে আইসিসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে লিগের প্রস্তাবনা নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসার প্রত্যাশা ছিল। হয়েছেও সেটাই। দুই সংস্করণের ক্রিকেটের জন্য দুটি ভিন্ন ভিন্ন লিগ পদ্ধতির টুর্নামেন্ট চালু করার সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েছে সদস্য বোর্ডগুলো।
তবে বহুল আলোচিত এই লিগ টুর্নামেন্টের পয়েন্ট পদ্ধতি ও সূচির ধরন এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর কথা বলা হয়েছে। যাতে অংশ নেবে টেবিলের শীর্ষ ৯টি টেস্ট খেলুড়ে দেশ। লিগ পদ্ধতিতে খেলা এগোনোর পর ২০২১ সালের এপ্রিলে টেবিলের শীর্ষ দুটি দল চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ফাইনালে লড়বে।
অংশ নেওয়া প্রতিটি দেশ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৬টি টেস্ট সিরিজ খেলবে। যার তিনটি হবে দেশের মাটিতে, বাকি তিনটি অ্যাওয়ে। প্রতিটি সিরিজে দলগুলোকে অন্তত দুটি টেস্ট খেলতেই হবে। তবে অ্যাশেজের মতো ঐতিহ্যবাহী সিরিজগুলোর কথা বিবেচনা করে সেটি ৫ টেস্টের সিরিজ পর্যন্ত টেনে নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
সেখানে ওয়ানডে লিগে অংশ নেবে ১৩ দল। ১২টি টেস্ট খেলুড়ে দেশ ও আইসিসির ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগের বিজয়ী দল লিগে অংশ নেবে। লিগ শুরু হবে ২০২০-২১ মৌসুমে। দুই বছর ধরে চলবে টুর্নামেন্ট। শেষ হবে ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দলগুলো ৮টি সিরিজ খেলার সুযোগ পাবে। সিরিজগুলো তিন ম্যাচের হবে। এই ওয়ানডে লিগ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব হিসেবেও কাজ করবে। তবে টেস্টের মত ওয়ানডে লিগেরও পয়েন্ট পদ্ধতি এবং সূচি পরিকল্পনা ঠিক হয়নি এখনও।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচগুলো প্রথাগত ৫ দিনেরই রেখেছে আইসিসি। আবার ২০১৯ পর্যন্ত পরীক্ষামূলক চারদিনের টেস্টেরও অনুমোদন দিয়েছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। দ্রুতই ঠিক করা হবে চারদিনের টেস্টের নিয়মকানুন। সাউথ আফ্রিকা চলতি বছর নিজেদের ‘বক্সিং ডে’ টেস্টটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চারদিনের ম্যাচ হিসেবে খেলবে।