চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

টেস্টের দশ হাজারি এলিট ক্লাবে ইউনুস

অপেক্ষার শেষ হল ইউনুস খানের। দুদিন অপেক্ষার পর কিংসটন টেস্টের তৃতীয় দিনে কাঙ্ক্ষিত ২৩ রানের আক্ষেপ ঘোচালেন তিনি। প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে টেস্টে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন ইউনুস। সব মিলিয়ে বিশ্বের ১৩তম ব্যাটসম্যান হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্যাবাইনা পার্কে টেস্টের তৃতীয় দিন চা বিরতির আগে রোস্টন চেজকে সুইপ করে এক রান নিয়ে মাইলফলকে ঢোকেন ইউনুস খান। ওই রানেই ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান পাকিস্তানি তারকা। ২০৮ ইনিংসে ৫৩’র উপরে গড় নিয়ে দশ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেছেন ইউনুস। কম ইনিংস খেলে মাইলফলকে ঢোকার দিক থেকে ষষ্ঠ স্থানে তিনি। সবচেয়ে কম ১৯৫ ইনিংসে ১০ হাজার রান করেন ক্রিকেটের বরপুত্র ক্যারিবীয় গ্রেট ব্রায়ান লারা।

২১২তম ইনিংসে, ১৯৮৭ সালে টেস্ট ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ হাজার রান ছুঁয়েছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার। ১৯৯৩ সালে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই অনন্য অর্জনে নাম লিখিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালান বোর্ডার। এরপর স্টিভ ওয়াহ, ব্রায়ান লারা, শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, রিকি পন্টিং, শিবনারায়ণ চন্দরপাল, জ্যাক ক্যালিস, মাহেলা জয়াবর্ধনে, কুমার সাঙ্গাকারা ও অ্যালিস্টার কুক এই এলিট ক্লাবে যোগ দেন।

২০১৫ সালের অক্টোবর থেকেই পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান স্কোরার ইউনুস খান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জাভেদ মিয়াদাদের ৮৮৩২ রান টপকে যান তিনি। ১১৬ টেস্টে ৩৪টি সেঞ্চুরি ও ৩৩টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন। সর্বোচ্চ রান তার ৩১৩।

ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শের দিনে ৫৮ রান করেন ইউনুস খান। আর পাকিস্তান ৪ উইকেটে ২০১ রানে দিন শেষ করেছে। স্বাগতিকদের চেয়ে এখনো ৮৫ রানে পিছিয়ে তারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন বাবর আজম। ওপেনার আহমেদ শেহজাদ করেন ৩১ রান। ক্রিজে রয়েছেন অধিনায়ক মিজবাহ-উল-হক ও আসাদ শফিক।

এর আগে দিনের শুরুতে ৯ উইকেটে ২৭৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ৮ রান যোগ করতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিজের ষষ্ঠ উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিবীয়দের ইনিংসের সমাপ্তি টানেন মোহাম্মদ আমির। লর্ডস কেলেঙ্কারীর পর মাঠে ফিরে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করলেন ওয়াসিম-ওয়াকারদের সবচেয়ে উজ্জ্বল উত্তরসূরী।