ব্রিটেনের মধ্যবর্তী নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া কনজারভেটিভ সরকারের বিরুদ্ধে সেন্ট্রাল লন্ডনে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ‘নট ওয়ান ডে মোর প্রটেস্ট’ এর অংশ হিসেবে তারা এই বিক্ষোভ করেন।
লক্ষাধিক মানুষের এই বিক্ষোভ পোর্টল্যান্ডের বিবিসি ব্রডকাস্টিং হাউজের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়ে এগিয়ে চলে লন্ডনের পার্লামেন্ট স্কয়ারের দিকে। সেখানে লেবার নেতা জেরেমি করবিনসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
দি পিপলস অ্যাসেম্বলি অ্যাগেইন্সট অস্টারিটি এই মিছিলের আয়োজন করে। তারা বলছে: ভালো স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাব্যবস্থা, বাসস্থান, চাকরি ও জীবনযাপনের দাবিতেই এই প্রতিবাদ।
বিক্ষোভকারীরা ব্যানারে কনজারভেটিভ পার্টির কঠোরতা প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান। সেখানে ‘কঠোরতা ধ্বংস করে’, ‘টোরিদের বাইরে বের করে দাও’, ‘আর একদিনও নয়’ এমন স্লোগানও শোনা যায়।
ওই বিক্ষোভ সমাবেশে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেন, ‘পাবলিক সেক্টরে কর্মরতদের আমি বলতে চাই, এই মানুষগুলোকে নিয়ে ভ্রমে আচ্ছন্ন হবেন না। তারা যখন থেকে কঠোরতা শুরু করল তখন থেকেই তারা সেটা আক্ষরিক অর্থে শুরু করেছে এবং সেটাকেই সামনে নিয়ে যাবে। তারা দেশের গরীব ও ধনীদের মধ্যে দুরত্ব তৈরি করবে, নিচুতলার মানুষগুলো ক্রমাগত দারিদ্রতার শিকার হবে। স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অন্যান্য বিষয়ে পিছিয়ে যাবে, যা রোধ করা একটি সভ্য সমাজের জন্য জরুরি।’
লন্ডনে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা এবং গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় জরুরি সেবার প্রশংসা করেছেন যেসব এমপি তাদের সমালোচনা করে বিষয়টিকে ‘হিপোক্রেসি’ হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।
গত ১৩ জুন গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজিত হয়ে পড়ে জনতা। সেই ঘটনায় প্রাণ হারায় ৮০ জনের মতো মানুষ। পরে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের ফ্ল্যাট কর্তৃপক্ষ আবাসন দিতে চাইলে সেটা নিয়ে আপত্তি তুলে দেশের অভিজাত ‘স্বার্থপররা’। এমনকি আগুনের ঘটনায় টেরেসাে মে তার ভূমিকা নিয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন। ক্ষতিগ্রস্তরা এই ঘটনায় অবহেলায় ছিল বলে অভিযোগ করেন।