টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির দুইগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জেলা বিএনপির সভাপতি শামছুল আলম তোফা, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালসহ দেড় শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
ওই মামলায় ইতোমধ্যে আট কর্মীকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।
সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইল সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়েরকৃত মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো দেড়শ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলায় শুধুমাত্র বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীদের আসামী করা হলেও পদবঞ্চিত অংশের কাউকে আসামী করা হয়নি।
রোববার দুপুরে বিএনপির বর্তমান কমিটির নেতাকর্মী এবং কমিটিতে পদবঞ্চিতদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যানবাহন ও বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর এবং জনমনে আতঙ্ক ও ভয়ভীতি সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার বিবরণে বাদি উল্লেখ করা হয়, রোববার সকাল ১০টার দিকে যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নির্দেশে তার ভাই জেলা বিএনপির সভাপতি শামছুল আলম তোফা, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালের নেতৃত্বে ১০০-১৫০ জন নেতাকর্মী প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে সমবেত হয়। তারা টাঙ্গাইল শহরে কৃত্রিম সন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা এবং ইটপাটকেল নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ ভাংচুর ও জনমনে আতঙ্ক ও ভয়ভীতির সৃষ্টি করে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে শামছুল আলম তোফাকে সভাপতি এবং ফরহাদ ইকবালকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা বিএনপি কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়। শামছুল আলম সাবেক উপমন্ত্রী ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামী আব্দুস সালাম পিন্টু এবং সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর ভাই।
বিদ্রোহী পক্ষের অভিযোগ সুলতান সালাউদ্দিন টুকু কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করে তার ভাইকে সভাপতি করেছেন ও তাদের অনুসারীদের কমিটিতে স্থান দিয়েছেন। পরে গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এই কমিটি বাতিলের দাবিতে চারজন কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এই কমিটি যে কর্মসূচি নিবে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দেন বিদ্রোহি গ্রুপ।