চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে টাঙ্গাইলে ৩ ব্যবসায়ীকে তুলে নেয়ার অভিযোগ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে তিন দিনের ব্যবধানে আব্দুল মান্নান (৩৬), জহুরুল ইসলাম (৩৫) ও শমসের ফকির (৩৭) নামে তিন ফার্নিচার ব্যবসায়িকে তুলে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা, এমনটাই দাবি তাদের পরিবারের। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।

উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়া পাড়া গ্রামের কছিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মান্নান স্থানীয় মাটিকাটা বাজারে ফার্নিচারের ব্যবসা করতেন। সোমবার ভোরে একটি মাইক্রোবাসযোগে ৮-১০ জন লোক এসে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।

মান্নানের পরিবারের পক্ষ থেকে সারাদিন ভূঞাপুর থানা, টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র‌্যাব-১২ সহ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করা হলেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে ওইদিন রাতেই ভূঞাপুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়। তিনদিন অতিবাহিত হলেও তার কোন সন্ধান মেলেনি।

নাটোর জেলার সদর উপজেলার তেলকুপি গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে জহুরুল ইসলাম ও ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের খড়ক গ্রামের মতি ফকিরের ছেলে শমসের ফকির ভূঞাপুর পৌর এলাকার ফসলান্দী কলেজ গেটের নিকট দীর্ঘদিন যাবৎ তাকওয়া ও সৌখিন নামে দু’টি ফার্নিচারের দোকান করে আসছে।

বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নিজ ফার্নিচারের দোকান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে মাইক্রোবাস যোগে ৭-৮ জনের একটি দল জহুরুল ইসলাম ও শমশের ফকিরকে একই কায়দায় তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ ঘটনায় ওই রাতেই পৃথক দু’টি সাধারন ডায়েরি করা হয়। বৃহস্পতিবার দিনভর উভয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র‌্যাব-১২সহ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করা হলেও তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

ভূঞাপুর থানার ওসি এ.কে.এম কাউছার চৌধুরী

ঘটনার বিবরণ দিয়ে নিখোঁজ মান্নানের পরিবার জানায়, তিন-চার বছর ধরে জহুরুল খানের সাথে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার সাথে সাথে পাল্টে যায় মান্নানের জীবনযাত্রা।

আব্দুল মান্নান, জহুরুল ইসলাম ও শমসের ফকিরের বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক তিনটি সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক তুলে নেয়ার বিষয়ে অবগত নন বলে জানান ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.কে.এম কাউছার চৌধুরী। দ্রুত রহস্য উৎঘাটনের কথা জানালেন এই কর্মকর্তা।

তাদের তুলে নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার মুক্তিপণ না চাওয়ায় এবং গত কয়েক বছর ধরে তাদের চালচলন ও জীবনযাত্রায় আমুল পরিবর্তন লক্ষণীয় হওয়ায় তাদের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার বিষয়টিকেও খতিয়ে দেখার দাবি এলাকাবাসীর।