চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জোলিকে ড্রাগ টেস্ট!

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি মাদকাসক্ত। তিনি নিয়মিত মাদক নিচ্ছেন। অন্যদেরকেও মাদক নেওয়ার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করছেন।—২০০১ সালে এমন খবরে কেউ এতটুকু অবাক হয়নি। কারণ তা ছিল জোলিকে নিয়ে স্বাভাবিক খবর।

তবে জোলির মতে, এই সবই ছিল গুজব। একটি মহল তাকে হলিউডে দুর্বল করার জন্য এমন কথা বেশ জোরেসোরে প্রচার করে। আর এই প্রচারণা এতটাই বিশ্বাসযোগ্য ছিল যে, ‘লারা ক্রফট : টুম্ব রেইডার’ ছবির শুটিংয়ের আগে প্রতিদিন তাকে ড্রাগ টেস্টের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

‘লারা ক্রফট : টুম্ব রেইডার’ ছবির পরিচালক সায়মন ওয়েস্ট সম্প্রতি ‘দ্য হলিউড রিপোর্টার’ সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎ​কারে জানান, সময়টা জোলির জন্য মোটেও অনুকূল ছিল না। খুব খারাপ সময় তিনি পার করেছেন। তার মাদকাসক্তি নিয়ে হলিউডে নানা গুজব প্রচলিত ছিল। তাই লারা ক্রফট চরিত্রটির জন্য জোলিকে নেওয়ার ব্যাপারে দ্বিধান্বিত ছিলেন পরিচালক!

সায়মন ওয়েস্ট বলেন, ‘কিন্তু লারা ক্রফট চরিত্রের জন্য মরিয়া ছিলেন জোলি। একদিন সে আমাকে প্রস্তাব দেয়, এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত! এমনকি প্রতিদিন শুটিংয়ে আসার আগে ড্রাগ টেস্ট করাতেও আপত্তি নেই তার!’

জোলির প্রস্তাব মনে ধরে পরিচালকের। জোলিকে নেওয়া হলো। শর্ত একটাই, শুটিংয়ে আসার আগে প্রতিদিন তাকে রক্ত ও মূত্র পরীক্ষা করাতে হবে। জোলি প্রমাণ করেন, তিনি মাদকাসক্ত নন! পুরোটাই ছিল গুজব।

‘লারা ক্রফট : টুম্ব রেইডার’ ছবিটি বদলে দেয় অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জীবন। সাফল্যের সব দরজা খুলে যায় তার সামনে। টাইমস অব ইন্ডিয়া।

‘লারা ক্রফট : টুম্ব রেইডার’ ছবিতে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি