চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

জার্মানিতে বাস যাত্রায় হয়রানির শিকার বাংলাদেশী দম্পতি, সমালোচনার ঝড়

জার্মানিতে এক বাস চালকের দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন এক বাংলাদেশী দম্পতি। স্ত্রীকে বাইরে রেখে বাস ছেড়ে দিয়ে এক কিলোমিটার যাবার পর লাগেজ ছাড়াই স্বামীকে নামিয়ে দেয়া হয় একেবারে রাস্তার মাঝখানে। এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকে পোস্ট দেন ভুক্তভোগী আসগর হোসেন। তিনি জার্মানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার৷

জার্মানির সংবাদ মাধ্যম ডয়েচ ভেলের কাছে তিনি দাবি করেছেন, বিদেশি বলেই ওই বাসের চালক তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করেছে।

ফেসবুকে দেয়া ওই পোস্ট নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। ওই পোস্টটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছে৷ অনেকেই বাস চালকের এই আচরণের সমালোচনা করেছেন৷সংশ্লিষ্ট বাস কোম্পানি ইতোমধ্যে ওই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে টিকিটের টাকা ফেরত দিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভুক্তভোগী দম্পতি বলছেন, এটা যথেষ্ট নয়৷

ফেসবুকে দেয়া আসগর হোসেনের পোস্ট থেকে জানা যায়, স্ত্রীকে নিয়ে জুরিখ থেকে ফ্লিক্সবাসে করে হাইডেলবার্গে যাচ্ছিলেন তিনি। বাস ছাড়ার আগে বাসে থাকা অপরিচ্ছন্ন টয়লেট ব্যবহার না করে ম্যাকডোনাল্ডসে গিয়েছিলেন তার স্ত্রী জাফরিন৷ তিনি বাসেই ভেতরেই বসে ছিলেন। পাঁচ ঘণ্টা যাত্রার পর টয়লেট ব্যবহারের চাহিদা অস্বাভাবিক কিছু নয়৷

হয়রানির কথা ফেসবুকে লেখেন আসগর হোসেন

ঠিক তখন থেকেই ওই বাসের ড্রাইভার তার সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে। এক পর্যায়ে তাকে ও তার স্ত্রীকে নিয়ে গালমন্দ করে। বাস চালিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে মাঝ রাস্তায় তাকে নামিয়ে দেয়া হয়। বাইরে তখন কনকনে ঠান্ডা। বাসের ভেতরে থেকে যায় লাগেজ, পাসপোর্ট ও শীতের কাপড়সহ যাবতীয় মূল্যবান জিনিসপত্র।

পরে স্ত্রীকে খুঁজতে পাগলের মতো ছুটেন তিনি। বাস স্টেশনের পাশের ম্যাকডোনাল্ডসে যেখানে স্ত্রী বাথরুম ব্যবহার করতে গিয়েছিলেন সেখানে অনেক খোঁজাখুজির পর তার সন্ধান পান তিনি। আসগরের দুশ্চিন্তার মূল কারণ ছিলো এই যে, তার স্ত্রী জার্মানিতে একেবারেই নতুন। তাছাড়া তার স্ত্রী জার্মান ভাষা জানতেন না এবং তার কাছে অর্থ বা পাসপোর্ট কিছুই ছিলো না। পরে অবশ্য তারা ওই একই কোম্পানীর বাসে করে ফিরেছেন। ওই বাসের চালক এবং সহকারীর সাথে কথা বলে তারা জানতে পারেন যে, যে কোনো প্রয়োজন হলে বাস চালকরা পাঁচ থেকে দশ মিনিট অবধি অপেক্ষা করে থাকেন। এটি কোনো সমস্যা নয়। তারা হয়রানির শিকার হয়েছেন।

বাংলাদেশী এই নাগরিক ওই বাস চালকের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন।