জামিন আদেশ জালিয়াতি করে ১’শ ৬ আসামীকে মুক্ত করার মামলায় ৫ জনকে ১৪ বছরের জেল দিয়েছেন আদালত।
এছাড়াও তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল্লাহর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক।
বুধবার বিশেষ জজ আদালত এই রায় দেন। বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ডক্টর মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান রায় ঘোষণার সময় ৫ আসামীর মধ্যে কাঠগড়ায় ছিলেন জজ আদালতের বরখাস্ত বেঞ্চ সহকারী মোসলেহ উদ্দিন, নেজারত বিভাগের কর্মচারী মোহাম্মদ নাঈম এবং উমেদার মোহাম্মদ ইসমাইল। অন্য দুই আসামী উমেদার মোহাম্মদ আলমগীর এবং জাহাঙ্গীর হোসেন পলাতক।
প্রত্যেক আসামীকে দুটি ধারায় ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন আদালত। অনাদায়ে ১ মাস করে ২ মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।
রায় ঘোষণার পর আটক তিন আসামীকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে ৭ জুন পর্যন্ত ঢাকার মহানগর দায়রা জজের সই জাল করে ভুয়া জামিননামা তৈরি করে ৭৪টি মামলায় ১’শ ৬ জন আসামীর মুক্তির ব্যবস্থা করে দেয় আদালতের কয়েকজন কর্মচারী।
ওই বছরের ১২ জুলাই কোতয়ালী থানায় মামলা করেন আদালতের নাজির উবায়দুল করিম আকন্দ। তদন্তের পর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ।