চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জামায়াত-শিবির চক্রই লিটনকে খুন করেছে, দাবি স্ত্রীর

জামায়াত-শিবির চক্রই এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন নিহতের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি।

মঙ্গলবার নিজ বাড়িতে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তিনি বলেন, প্রতিনিয়তই জামায়াত-শিবিরের চিহ্নিত নেতা-কর্মী প্রকাশ্যে, মোবাইলে হুমকি দিয়ে আসছিলো তাকে। এজন্য তিনি সবসময় সতর্কও থাকতেন এবং প্রশাসনকেও জানাতেন।

এমপি থাকা অবস্থায় তাদের দ্বারা আক্রমণেরও শিকার হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন স্মৃতি।

তবে দলীয় বিভেদের কারণে এই হত্যা কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এমপি লিটন আওয়ামী লীগ করতেন। এতে স্থানীয় কোন বিভেদ ছিল না। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষজনকে ভালবাসতেন। আর একারণেও উগ্র জামায়াত শিবিরের শত্রুতে পরিণত হয়েছিলেন।

এমপির কবর জিয়ারত ও শোকাহত স্বজনদের দেখতে যান কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

এসময় তিনি বলেন, জনগণের নিরাপত্তা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ সরকার। কেননা একজন আইন প্রণতা যেখানে তার সবচেয়ে নিরাপদ স্থানে খুন হন সেখানে সাধারণ মানুষের অবস্থা কি তা দেশের মানুষ আজ হারে হারে টের পাচ্ছে।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আজ দেশে নেই। তিনি জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করতেন। কিন্তু সেই রাজনীতি এখন নেই। জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতির ফলে আজ দেশে এই দশা।

এমপি লিটন হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও  সমাবেশ করেছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার বিকেলে পৌরশহরের বঙ্গবন্ধু মুর্যাাল চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মঞ্জু।

সমাবেশে এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা আহম্মেদ, পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদুল আলম চঞ্চলসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা।

এর আগে বঙ্গবন্ধু মূ্র‌্যাল চত্বরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

লিটন হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষর্থীবৃন্দ ব্যানারে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়।