চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জাবির ২৩২ কোটি ৫ লক্ষ টাকার বাজেট

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য মোট ২শ’৩২ কোটি ৫ লক্ষ টাকা ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য সংশোধিত ২শ’৯ কোটি ৮২ লক্ষ টাকার বাজেট পাস করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬ তম বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে এ বাজেট পাশ হয়।

মূল বাজেটে বার্ষিক ঘাটতির পরিমান দাঁড়াবে ১ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা এবং ক্রমপুঞ্জিভুত ঘাটতির পরিমান দাঁড়াবে ৩২ কোটি ৭৪ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা।

অধিবেশনে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল খায়ের ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের ২শ’ ৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেট এবং ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের জন্য ২শ’ ৩২ কোটি ৫ লাখ টাকার মূল বাজেট পেশ করেন। পরে সিনেট সদস্যরা তা অনুমোদন করেন। এবারের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ১৪টি খাতে ৭ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা এবং ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে ১৯টি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের মূল বাজেটে যে সব খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে তা হলো: অনুষদ, বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষা সরঞ্জাম খাতে ১৭ লক্ষ টাকা, বিভাগ সমূহের ফিল্ড ওয়ার্ক খাতে ৩.৭৫ লক্ষ টাকা, অনুষদ, বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের সেমিনার অনুষ্ঠান খাতে ১.২৫ লক্ষ টাকা, সাময়িকী প্রকাশনা খাতে ২ লক্ষ টাকা, চিকিৎসা কেন্দ্রের ঔষধপত্র ও ড্রেসিং দ্রব্যাদি ক্রয়, হাসপাতালকরণ ও ডাক্তারি যন্ত্রপাতি মেরামত খাতের বরাদ্দ যথাক্রমে ১৮ দশমিক ৭৫ লক্ষ, শূন্য দশমিক ৫০ লক্ষ এবং শূন্য দশমিক ৩০ লক্ষ টাকা, সকল আবাসিক হলে বাগান রক্ষনাবেক্ষণ খাতে শূন্য দশমিক ৮০ লক্ষ টাকা, সকল অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও আবাসিক হল কন্টিনজেন্সি খাতে ৩ দশমিক শূন্য ৫ লক্ষ টাকা, গ্রন্থাগার অফিসের জার্নালের চাঁদা খাতে ২ লক্ষ টাকা, পূর্ত বিভাগের আবাসিক ও অফিস ভবন এবং রাস্তাঘাট মেরামত খাতে যথাক্রমে ১শ ৭০ লক্ষ ও  ৫০ লক্ষ টাকা, আসবাবপত্র ক্রয় খাতে ১শ ৫০ লক্ষ টাকা, অফিস সরঞ্জাম ক্রয় খাতে ৭৫ লক্ষ টাকা, কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ ক্রয় খাতে ৫৫ লক্ষ টাকা, যানবাহন ক্রয় বদল খাতে ১শ ৯৭ লক্ষ টাকা।

সিনেট অধিবেশনে সাধারণ আলোচনায় সিনেটরবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলনে প্রশাসন কর্তৃক শিক্ষার্থীদের উপর মামলা দায়েরের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সিনেটে রেজিস্টার গ্রাজুয়েটদের মধ্যে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয় ব্যর্থ হয়েছে। এত শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।’

পরে সিনেটরদের বক্তব্য শেষে শিক্ষকদের তোপের মুখে পড়েন রেজিস্টার গ্রাজুয়েট প্রতিনিধিরা। তাদের মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্যেরও প্রতিবাদ জানান একাধিক শিক্ষক। এর মধ্যে অনেকে শিক্ষার্থী কর্তৃৃৃক শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন।