ক্রিজে বিশ্বক্রিকেটের দুই তারকা ব্যাটসম্যান অ্যারন ফিঞ্চ এবং ম্যাককুলাম। চলছে সুপার ওভার। আক্রমণে জসপ্রিত বুমরাহ। প্রথম বলটি ‘নো’। জয়ের জন্য আর দরকার ১১। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এই ম্যাচ জিতবে, কোনও জুয়াড়ি ভুলেও হয়তো এটা ভাবতে পারেননি। জসপ্রিত কিন্তু সেটা সম্ভব করেছেন ‘বুমরাহ’-জাদুতে।
প্রথম বলটি ‘নো’ করলেও বুমরাহ মাথা ঠাণ্ডা রেখে নিজের সহজাত অস্ত্রের প্রতি ভরসা রাখেন। রিভার্স সুইংয়ে বিভ্রান্ত করেন ব্যাটসম্যানদের। গুজরাট লায়ন্স তুলতে পারে মাত্র ৬ রান। অবাক করার বিষয় হল ওভারে কোনও বাউন্ডারি হয়নি।
গুজরাট এদিন আগে ব্যাট করে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে। মুম্বাইও থেমে যায় ওই রানে। এরপর সুপার ওভারে মুম্বাই আগে ব্যাট করে ১১ রান তোলে।
এক ওভারে এই রান আইপিএলের মতো আসরে খুব একটা বেশি নয়। বুমরাহ নিজেও সেটা জানতেন। চাপ অনুভব করলেও মাথা ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করেন, ‘এই প্রথমবার আমি সুপার ওভার করলাম। মাত্র ১১ রান দরকার ছিল। তাই কিছুটা চাপে ছিলাম। কিন্তু কখনোই নেতিবাচক কিছু মাথায় আনিনি। চেষ্টা করছিলাম নিজেকে শান্ত রাখার।’
বুমরাহ শুনিয়েছেন ওভারটির আগে কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে, অধিনায়ক রহিত এবং বোলিং কোচ শেন বন্ড তাকে কী বলেছিলেন।
‘তারা শুধুমাত্র আমার স্কিলের ওপর ভরসা রাখতে বলছিল। বলছিল, কনফিডেন্ট থাকো। এটা অন্য আরেকটা ওভারের মতোই।’
বুমরাহর এমন জাদুর পর টুইটারে তার বন্দনা চলছে। হার্শা ভোগলে লিখেছেন, ‘বিস্ময়কর শেষ ওভার। গুজরাট লায়ন্স তালেই ছিল কিন্তু অন্যতম সেরা একটি শেষ ওভারের কারণে পেরে ওঠেনি।’
বলিউড সুপারস্টার রনবীর সিং, ‘BOOM-RAAAAAH !!!’ এভাবে টুইট করে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
হেরে যাওয়া গুজরাট লায়ন্সও বুমরাহর প্রতি শ্রদ্ধায় অবনত। নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার পেজ থেকে তারা লিখেছে, ‘খেলা শেষ। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচটি জিতল। টি-টুয়েন্টির ইতিহাসে অন্যতম একটি সেরা সুপার ওভার করেছেন বুমরাহ।’