পুরো কলকাতা শহরটিই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক প্রামাণ্য দলিল। এই শহরেই খুব নীরবে বাস করছেন এমন কিছু মানুষ যারা ১৯৭১ সালে জীবন বাজী রেখে কাজ করেছিলেন বাংলাদেশের বিজয়ের জন্য। তাদের একজন ৯৬ বছরের নীহার রঞ্জন চক্রবর্তী।
মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলায় বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ ছাড়াও দেশি-বিদেশি সাংবাদিক এবং কর্মকর্তাদের যাবার জন্য সেদিন ২৫টি গাড়ী সরবরাহ করেছিলেন নীহার রঞ্জন চক্রবর্তী। কলকাতায় মওলানা ভাসানীর একমাত্র সংবাদ সম্মেলনটিও হয়েছিল তার বাড়িতেই।
নীহার রঞ্জনের জন্ম বাংলাদেশের নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম এ পাশ করা নীহার রঞ্জন তরুণকাল থেকেই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের একজন কর্মী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর মানুষটি প্রথম কথা বললেন কোন টেলিভিশনের সামনে। এই বয়সে এসে মাতৃভূমির মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির পৃষ্ঠা মেলে ধরলেন জলভরা চোখে। কেমিক্যাল কারখানার মালিক ছিলেন নীহার রঞ্জন। তিনি এমন একজন যিনি মুক্তিযুদ্ধের জন্য পেছন থেকে যোগান দিতেন আর্থিক রসদ।
শুধু কি আর্থিক সহায়তা? জাতীয় চার নেতার পরিবারের অনেকের ঠিকানাও ছিল তার তখনকার রাসেল স্ট্রিটের বাড়ি। তার পুরো বাড়িটিই ছিল বাংলাদেশের মুক্তির জন্য বিশাল আশ্রয়স্থল। খুব ঘৃণা নিয়ে জানালেন কলকাতায় আমেরিকান কনস্যাল জেনারেলের সঙ্গে খন্দকার মোশতাকের ষড়যন্ত্রের কথা।
বাংলাদেশে জন্ম নেয়া এই মানুষটি বললেন দেশের প্রতি ঋণ শোধ করার জন্য স্বাধীনতার জন্য কাজ করেছেন। বাংলাদেশের কাছে কিছুই চান না তিনি, বাংলাদেশের ভালোবাসা ছাড়া।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে: