জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের বৈঠক শেষে শনিবার দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। মূলত প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই বিশ্ববাসী রোহিঙ্গাদের প্রতি মনোযোগ দিয়েছে। এই সফল সফর শেষে দেশে ফেরায় দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিমান বন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং গণভবন পর্যন্ত সড়কের দুপাশে অবস্থান নেন। নেতাকর্মীরা। এতে রাজধানীর কোন কোন সড়কে যানজট দেখা দেয়। অনেকেই এ জন্য অন্ধভাবে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন। এই বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব মুহাম্মদ আশরাফুল আলম খোকন।
তিনি লিখেছেন: প্রায় দুই মাস আগে খালেদা জিয়া যখন লন্ডনে যান, সময়টা ছিল সন্ধ্যা ৬টা। বিকেল সাড়ে ৩ টা থেকে বিমানবন্দর সড়ক পুরোটাই ছিল নেতাকর্মীদের দ্বারা ব্লক করা। বিষয়টা এমন না যে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী ছিল, ২/৩ হাজার নেতাকর্মী পুরো রাস্তাটা এলোপাথাড়িভাবে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ করে রেখেছিলো। ওই দুর্বিষহ যানজট মধ্যরাত পর্যন্ত ছিল।
তখন তাহাদের চোখ অন্ধ ছিল। তারা যানজট দেখেনি, কোনো এ্যাম্বুলেন্স দেখেনি, জনগণের কোনো ভোগান্তি দেখেনি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজকের সংবর্ধনা টি ছিল খুবই সুশৃঙ্খল। লাখ লাখ নেতাকর্মী ছিল ফুটপাতে। প্রধানমন্ত্রী আসার ১০মিনিট পরই রাস্তার যানচলাচল ছিল স্বাভাবিক।
কিন্তু কিছু লোক বিপ্লবী হয়ে গেলেন, জনদরদী হয়ে গেলেন। যেন দেশের জনগণের ভালোমন্দের একমাত্র জিম্মাদার তারাই।
খালেদা জিয়ার সময় অন্ধ থাকা চোখটা শেখ হাসিনার সময় খুলে যায়। ইহা সত্য যে, অন্ধ পশ্চাৎপদ জাতিকে আলোর পথে বঙ্গবন্ধু কন্যাই নিয়ে এসেছেন।
তবে এই গোষ্ঠীটি জন্মান্ধ। ওনারা শুধু শেখ হাসিনারই সমালোচনা করেন। কারণ এই জন্মান্ধরা মনে করেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার গীবত করতে পারলেই জাতে উঠা যায়।