বাংলা পপ সংগীতের কিংবদন্তি আজম খানের আজ ৬৭তম জন্মদিন। গানের ভুবনে তরুণ প্রজন্মের কাজে ‘গুরু’ নামে তিনি পরিচিত। তিনি পপ সংগীতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
আজম খানের জন্ম ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। পপ সম্রাট আজম খানের কর্মজীবন শুরু হয় গত শতকের ষাটের দশকের গোড়ার দিকে। ১৯৭২ সালে তার ব্যান্ড উচ্চারণ এবং আখান্দ (লাকী আখান্দ ও হ্যাপী আখান্দ) দেশব্যাপী সংগীতের জগতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
১৯৭২ সালে বিটিভির অনুষ্ঠানে ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ ও ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ গান দু’টি সরাসরি প্রচার হয়। প্রচারের পর ব্যাপক প্রশংসা আর তুমুল জনপ্রিয়তা পান আজম খান।
১৯৭৪-৭৫ সালের দিকে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘বাংলাদেশ’ (রেললাইনের ঐ বস্তিতে) শিরোনামের গান গেয়ে হৈ-চৈ ফেলে দেন। তার পাড়ার বন্ধু ছিলেন ফিরোজ সাঁই। পরবর্তীকালে তার মাধ্যমে আজম খানের পরিচয় হন ফকির আলমগীর, ফেরদৌস ওয়াহিদ, পিলু মমতাজের সাথে। তাদের একসঙ্গে গাওয়া কয়েকটি গান তখন বেশ জনপ্রিয় হয়।
১৯৮১ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি ঢাকার মাদারটেকে সাহেদা বেগমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ। তার এক ছেলে এবং দুই মেয়ে। প্রথম সন্তানের নাম ইমা খান এবং দ্বিতীয় সন্তান হৃদয় খান এবং তৃতীয় সন্তান অরণী খান। আছেন চার ভাই ও এক বোন।
১৯৯১-২০০০ সালে তিনি গোপীবাগ ফ্রেন্ডস ক্লাবের পক্ষ হয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে খেলেছেন। তিনি ‘গডফাদার’ নামক একটি বাংলা ছবিতে ভিলেনের ভূমিকায় অভিনয় করেন। এ ছাড়া তিনি বিজ্ঞাপনচিত্রেরও মডেল হয়েছেন।
আজম খান দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ক্যানসারের সাথে লড়াই করে ২০১১ সালের ৫ জুন মারা যান।