কথিত ইসলাম স্টেটের (আইএস) হামলার পরপরই সংবাদ পাঠ করে প্রশংসিত হচ্ছেন পারোয়িজ স্যাপি। আফগানিস্তানের কাবুলে শামশাদ টিভি’তে আইএসের ওই হামলায় ১ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়। হামলা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই টিভি পর্দায় দেখা যায় হাতে ব্যান্ডেজ বাধা স্যাপি সংবাদ পড়ছেন।
শান্ত-স্থির স্যামি প্রথমেই জানান, “হামলা শেষ হয়েছে।”
“এই ভবনের ভেতরের সকল কর্মকর্তারা নিরাপদ আছে। আমরা আবারও কাজ শুরু করেছি, সকল সাংবাদিকেরা আবার কাজে ফিরেছে।” পশতু ভাষায় এমনটি বলেন তিনি।
রাজধানীর এই টিভি স্টেশনে পুলিশের ছদ্মবেশে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেনেড নিয়ে এই হামলায় কমপক্ষে তিনজন অংশ নেয়। এতে কিছু সময়ের জন্য টিভির সম্প্রচার বন্ধ ছিলো।
টিভির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কমপক্ষে একজন হামলাকারী টিভি স্টেশনের গেটের সামনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়। অন্যরা ভিতরে ঢুকে পড়ে। এতে গণমাধ্যমকর্মীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনী প্রায় ৪ ঘন্টা লড়াই করে উদ্ধার অভিযান শেষ করে।
স্যাপি আলজাজিরা কে বলেন, সকালে মিটিংয়ের সময় গুলির শব্দ শুনতে পাই। পালিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ ছিলো নিউজরুমের ছোট জানালা। আমি তা হাত দিয়ে ভেঙ্গে সবাইকে পালিয়ে যেতে বলি। এসময় তার হাতে ক্ষত সৃষ্টি হয়। সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসার বন্যায় ভাসছেন স্যাপি। অনেকেই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তাকে।
নাইমাত খান টুইট করেছেন,“এটা সন্ত্রাসীদের জন্য জোরালো বার্তা। সেনাদের হারাতে পারলেও সাংবাদিকদের হারাতে পারবে না।
স্পেনের সাংবাদিক কার্মেন ফারনান্দেজ টুইট করে শ্রদ্ধা জানান।
হামলার পর তার প্রথম সরাসরি সম্প্রচারের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে স্যাপি বলেন, আমি তখন বুঝতে পারি ‘গণমাধ্যমের শক্তি’। এই উপলব্ধি সাংবাদিক হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করে আমাকে।