চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘ছেলের যাবতীয় দায় দায়িত্ব শাকিব নিতে প্রস্তুত’

এপ্রিলের পর ফের ‘টক অব দ্য টাউন’-এ পরিণত হয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের সফল জুটি শাকিব-অপু। এপ্রিলে বিয়ের খবর দিয়ে সবাইকে চমকে দিলেও এবার তারা ডিভোর্সের খবর নিয়ে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন সংবাদ মাধ্যমে। অপুর ঘরে ডিভোর্স লেটার দিলেন শাকিব, এমন খবরে চাউড় পুরো মিডিয়া। এরপর থেকেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যাচ্ছে না অপু বিশ্বাসকে। ‘নোলক’ ছবির শুটিংয়ে শাকিব রয়েছেন ভারতে। ডিভোর্সের খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শাকিবের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম। চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে শাকিব-অপুর ডিভোর্স নিয়ে তিনি দিলেন বিস্তারিত তথ্য-

শাকিব খান ডিভোর্সের বিষয়ে আপনার সঙ্গে কবে যোগাযোগ করেন?
নভেম্বরের ২২ তারিখে শাকিব খান আমার সঙ্গে তার দাম্পত্য কলহ বিষয়ে যোগযোগ করেন।

অপু বিশ্বাসকে কী কারণে তিনি ডিভোর্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এসব বিষয়ে নিশ্চয় তিনি আপনার সঙ্গে পরামর্শ করেছেন,, কথা বলেছেন?
শাকিব খান আমার কাছে আসছে এবং তার দাম্পত্য জীবন নিয়ে বিস্তারিত খুলে বলেছেন। ডিভোর্সের কারণ হিসেবে তিনি আমাকে জানিয়েছেন, যেভাবে অপুকে নিয়ে সংসার সাজাতে চাইছিলেন। অপু সেই প্রতিশ্রুতি মোতাবেক কাজ করেন নাই। সন্তানের কথা বলে তাকে নানাভাবে দমিয়ে রেখেছে। শাকিব খানও ছেলের কথা ভেবে অপুর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গেও খুব একটা রিয়েকশানে যাননি। এরপর সেই ছেলেকে বাসায় একা তালাবদ্ধ করে রেখে অপু তার ছেলে বন্ধুর সাথে বিদেশ গিয়েছেন। এগুলো কিন্তু শাকিব খানের বক্তব্য, আমার না।

তাহলে ছেলে জয়কে একা রেখে যাওয়াতেই শাকিব ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন?
না। শুধু এই কারণে নয়, অপু বিশ্বাসের নৈতিক স্থলনজনিত কারণে তাকে ডিভোর্স দিয়েছেন বলে শাকিব খান তালাকনামায় উল্লেখ করেছেন। স্ত্রীর এমন স্থলন কোনো পুরুষ মানুষ সহ্য করতে পারেন না। তাই অপুকে তিনি ডিভোর্স দিচ্ছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।

অপুকে ডিভোর্স দেয়ার সিদ্ধান্তটা কি ২২ তারিখেই নিলেন শাকিব?
২২ তারিখ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্যে তিনি আমাদের কাছে এসেছেন। কিন্তু ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত তিনি আগেই নিয়েছেন। সেভেন বাই ওয়ান ধারায় কাজী অফিস থেকে স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অনুমতি নিয়ে এসেছেন। এরপর তিনি আদালতে এসেছেন।

সেখানে অপু ইসলাম খানকে ডিভোর্স দেয়ার কথা পরিস্কারভাবে বর্ণনা করা আছে। যার একটি কপি উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবর, একটি অপুর পার্মানেন্ট এড্রেস বগুরায় এবং অন্যটি অপুর বর্তমান ঢাকার বাসায় পাঠানো হয়েছে।

তারমানে শাকিব-অপুর বিচ্ছেদ এখন যে কোনো মুহূর্তেই হয়ে যেতে পারে?
এখনো নব্বই দিন সময়ে আছে। এরমধ্যে সিটি কর্পোরেশন একটি সালিশি পরিষদ গঠন করে মিটিং ডাকবে। যেখানে শাকিব ও অপু বিশ্বাসকে উপস্থিত থাকতে বলা হবে। আর এই মিটিংয়ে তাদের দুজনের দাম্পত্য কলহের কথা শুনে মিলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হবে। অতীত ভুলে সংসারে ফিরে যেতে বলা হবে। এটা সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব, কর্তব্য।

কিন্তু তারা যদি এই সালিশে উপস্থিত না হয়?
সেই ক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে, তারা তাদের সিদ্ধান্তে অটল আছেন। নব্বই দিন পর এমনিতেই ডিভোর্স কার্যকর হয়ে যাবে।

শেষ পর্যন্ত যদি শাকিব-অপুর ডিভোর্স হয়েই যায়, তাহলে তাদের ছেলে আব্রাম খান জয়ের ভবিষ্যৎ কী?
ছেলের বিষয়ে শাকিব আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। সে বলেছে, ছেলের যাবতীয় দায় দায়িত্ব তিনি নিতে চান।

কিন্তু আইনত এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত?
আইনত ছেলে প্রাপ্ত বয়স্ক না হলে মা-ই প্রকৃত দাবীদার। কিন্তু অপু বিশ্বাস যদি আরেকটি বিয়ে করেন তাহলে শাকিব কিন্তু তার ছেলেকে ডিজায়ার করেন। আর ইদানিং নৈতিকতার অধপতনের কারণে সন্তানকেও পর্যন্ত হত্যা করছে মা। এরকম প্রচুর ঘটনা আমরা সংবাদে দেখি। আর এ কারণে আদালতও মায়ের কাছে সন্তান রাখার ব্যাপারে নিরাপত্তা বোধ করছে না এখন। আসলে এটা আগে থেকে বলা মুশকিল। পরিবেশ পরিস্থিতি, মানুষের আবেগ অনুভূতির বিষয়ও দেখতে হবে। তবে আইনত ছেলে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগ পর্যন্ত মা-ই সন্তানের প্রকৃত দাবীদার।