চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য দল ঘোষণার সময় নির্ধারিত ছিল ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। অংশগ্রহণকারী আট দেশের মধ্যে সাতটি দেশেরই দল দেওয়া হয়ে গেছে। বাকী কেবল ভারত। কিন্তু আইসিসিতে প্রস্তাবিত লভ্যাংশ না মেলায় এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য দল ঘোষণা থেকে বিরত আছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। তারা আদৌ দল পাঠাবে কিনা, সেই প্রশ্নও কিন্তু জাগছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে।
গত বুধবার আইসিসির সাধারণ সভায় স্থায়ী ১০ দেশ এবং সহযোগী ৪ দেশের মধ্যে ভোটাভুটিতে ১৩-১ ভোটের বিপুল ব্যবধানে বাতিল হয়ে যায় ২০১৪ সালের ‘তিন মোড়ল’ দেশের জন্য বিতর্কিত লভ্যাংশ নীতি। নিজেদের পাশে কাউকেই পায়নি বিসিসিআই। তিন মোড়ল নীতিতে যেখানে ৫৭০ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার কথা ছিল বিসিসিআইয়ের, প্রস্তাব বাতিল হয়ে যাওয়ায় ২৯৩ মিলিয়ন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হতে পারে বোর্ডটিকে। যদিও আইসিসি সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর অর্থের হিসেবকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারে এনে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আপোষের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
লভ্যাংশ হারানোর ক্ষোভটা ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ওপর ঝাড়বে কিনা সেটা নিয়েই আইসিসির কর্তাদের রাতের ঘুম হারাম হওয়ার যোগাড়। যদি ভারত ইংল্যান্ডের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ না নেয় তাহলে অনেকাংশে জৌলুস হারাবে টুর্নামেন্টটি; সেটি ভালো করেই জানেন বিসিসিআই কর্তারা। তাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকেই এক প্রকার ঢাল বানিয়ে আইসিসিকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তারা।
ভারত না খেললে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যে জৌলুসহীন হয়ে পড়বে তাই নিয়ে চিন্তিত ইংলিশ ক্রিকেটের বোর্ড প্রধান জাইলস ক্লার্ক, ‘ভারতের সবগুলো ম্যাচের টিকিটি বিক্রি হয়ে গেছে। বিসিসিআই যদি এভাবে অপেক্ষায় রাখে, তাহলে ইসিবির বসে ঘামা ছাড়া আর কোনও পথ নেই।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে দোটানায় ফেলে বিসিসিআই ইসিবিকে নিজেদের দলে টানতে চাইছে। যেভাবেই হোক ভারতকে টুর্নামেন্টে ফিরিয়ে আনতে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইসিবি।