লন্ডনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেন। তবে এখনো চিকিৎসার স্বার্থে তাকে হাসপাতালে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও নাগরিক টিভি’র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ডা. আবদুন নূর তুষার।
তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘আনিসুল হক এখনো হাসপাতালেই আছেন। তাকে চিকিৎসার প্রয়োজনে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটাকে মেডিকেল সিডেশন বলা হয়। তবে কবে দেশে ফিরতে পারবেন এখনি তা বলা যাচ্ছে না।’
গুলশানে ডিএনসিসি ভবনে গিয়ে দেখা যায় সব কক্ষে সবাই কর্মব্যস্ত। শুধু তামার পাতের ওপর সোনালি অক্ষরে ‘মেয়র’ লেখা দরজাটি যেনো নগরপিতার ফেরার অপেক্ষায় দিন গুনছে। দু’দিন আগে ২১ আগস্ট এই ভবনে এসেছিলেন আনিসুল হকের ছেলে নাভিদুল হক। তিনি মেয়রের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে বাবার জন্য সবার দোয়া চেয়ে গেছেন বলে জানান মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী সৈয়দ আবু সালেহ।
মেয়রের অবর্তমানে ডিএনসিসি’র কর্মযজ্ঞ থেমে নেই। দুই বছর মেয়রের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা দিয়ে কর্মকর্তারা তার সাময়িক অনুপস্থিতির সময়টা সামলে নিচ্ছেন। ডিএনসিসি’র বিভিন্নবিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন মেয়রের অবর্তমানে এই কর্মযজ্ঞ চালিয়ের নেয়ার দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাহী মেসবাহুল ইসলাম।
বৈঠক শেষে তিনি জানান, আগে থেকেই মেয়রের দিক নির্দেশনা থাকায় কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
চ্যানেল আই অনলাইনকে ডিএনসিসি’র এই কর্মকর্তা বলেন, ‘মেয়র নাগরিকদের জন্য নতুন নতুন কাজে সবাইকে ব্যস্ত রাখেন। এখন নতুন কাজের চেয়ে আমরা তার নির্দেশনা দিয়ে যাওয়া কাজগুলোকে সম্পন্ন করছি। আমাদের প্রকৌশলীরাও মাঠ পর্যায়ে ব্যস্ত। তার গাইডলাইন অনুসরণ করা হচ্ছে কারণ তিনি ফিরলে সব কাজে জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন পরেই কোরবানির ঈদ। তিনি থাকলে রাস্তায় নেমে যেতেন। তার অনুপস্থিতিতে রাস্তায় আছে ডিএনসিসি টিম,বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটি। তিনিই বর্ষাকালে রাস্তা খোড়াখুড়ি বন্ধ রাখতে বলে যাওয়ায় আপাতত এসব কাজ সাময়িক বন্ধ আছে।’
গত ২৯ জুলাই ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে লন্ডনে যান ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হক। সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তিনি সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিসে (মস্তিষ্কের রক্তনালীর প্রদাহ) আক্রান্ত হন বলে পরিবার ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।