লাগামহীন পাইকারি চালের বাজারে চালের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার পাইকারি চালের বাজারে মিনিকেট প্রতি কেজিতে ২ টাকা, ২৮- কেজিতে ২ টাকা এবং ভারত থেকে আমদানি করা ইন্ডিয়ান সোনা প্রতি কেজিতে ৩ টাকা করে কমেছে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, খুচরা চালের বাজারে দাম কমার প্রভাব এখনও পড়েনি। দাম কমতে আরও কয়েকদিন লাগবে বলে জানিয়েছেন তারা।
গত মঙ্গলবার চাল ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে তিন মন্ত্রণালয়ের বৈঠক করেন। বৈঠকে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সকল দাবি মেনে নেয় সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাইকারিভাবে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। এদিকে থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও ভারত থেকে চাল আমদানির ঋণপত্র খুলেছে।
এছাড়া বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা পর্যায়ে ওএমএস চালু করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
কোরবানি ঈদের পর কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ করেই অস্থির হয়ে উঠে দেশের চালের বাজার। বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে প্রায় ১০ দরে বেড়ে যায়। অবশ্য চাল ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন, সংকট কাটাতে চাল আমদানির শুল্ক দেরিতে কমানো, চাল ও ধান সংগ্রহে সরকারের দাম অনেক কম হওয়াসহ নানা কারণে এবার চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
সচিবালয়ে চাল ব্যবসায়ীদের নিয়ে তিন মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে কেউ কেউ চালের বাজার বৃদ্ধিতে মিডিয়ার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।