চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

চলচ্চিত্রের প্রতি ভালোবাসা থেকেই নির্বাচন করছি: ওমর সানি

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আগামী নির্বাচনে সভাপতির পদে নির্বাচন করছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানি। এ পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বি খল নায়ক মিশা সওদাগর। আসছে ফেব্রুয়ারিতে শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। নিয়মানুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে দুই বছরের জন্য নতুন কমিটি গঠিত হবে।

এ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সভাপতির পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ওমর সানি চ্যানেল আই অনলাইনে একান্ত সাক্ষাতকারে জনালেন তার নির্বাচনে আসার কারণ এবং নির্বাচনের সবশেষ প্রস্তুতি সম্পর্কে।

সভাপতির পদে নির্বাচন করছেন কেন?
একসময়ের রোমান্টিক হিরো সানি বলেন, আমি একজন চলচ্চিত্রের মানুষ। নিজের সন্তানের চেয়েও চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকটি মানুষকে ভীষণ ভালোবাসি। তাদের বিপদে-আপদে সবসময় তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি সেটি মিডিয়াসহ আমার সহকর্মীরা ভালো জানেন। তাই চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে আমি এবার সভাপতি নির্বাচন করছি।

তিনি আরো বলেন, আমি যেমন চলচ্চিত্রের সুদিনে ছিলাম  তেমনি চলচ্চিত্রের খারাপ দিনে রাস্তায় আন্দোলনে ছিলাম। এছাড়া সভাপতির নির্বাচনের আগে আমি শিল্প সমিতির সহ-সভাপতি হিসেবে কাজ করেছি। শিল্পীদের উন্নয়নে নিজে যতটুকু পারি ততটুকু সাধ্য মতো করতে চায় বলে এবার নির্বাচন করছি।

যদি সভাপতি হয়ে যান শিল্পীদের কতটুকু আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবেন?
ওমর সানি: সভাপতি হতে পারবো কিনা জানি না। তবে আমি কোনোদিন বলেনি এটা আমি করেই ছাড়বো। কারণ এখন সবাইকে অনেক স্বপ্ন দেখালাম এই করবো, সেই করে ফেলবো কিন্তু পরে কিছুই করতে পারলাম না এইধরনের কাজ আমি করতে পারবো না। শুধু এতোটুকু বলতে পারি ভালোবাসা দিয়ে যতটুকু  শিল্পীদের কল্যাণে করা যায় আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী তাই করবো। তার কারণ সভাপতির পদ ছাড়াও আরো অনেক বড় পদও রয়েছে।

আপনি সহকর্মীদের কাছে জনপ্রিয় ভোটের প্রত্যাশা কতটুকু?
আমি যেদিন থেকে নির্বাচন করবো বলে ঘোষণা দিয়েছি সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত সবাইকে কাছে পেয়েছি। আমি মনে করি, আমার স্ত্রী মৌসুমী যেমন আমাকে ভোট দিবে ঠিক তেমনি অন্য নায়িকারাও আমাকে ভোট দিবে। এছাড়া চলচ্চিত্রে যাদের আমরা শিক্ষক বলে মানি, সেই নায়করাজ রাজ্জাক, আলমগীর সবাই আমার পাশে রয়েছেন। আশাকরি চলচ্চিত্রের প্রত্যেক শিল্পীর কাছ থেকে আমি ভোট পাবো।

আপনার প্যানেলে সম্পাদক পদে রয়েছেন আরেক জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস তার নির্বাচনের প্রস্তুতি কেমন?
ফেরদৌস এই নির্বাচনে একেবারে নতুন। ওর বুঝতে একটু সময় লাগছে। এ সপ্তাহ থেকে ফেরদৌস নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। ফেরদৌসের জনপ্রিয়তা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই এটা সবাই জানে।

প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে আপনার প্রিয় বন্ধু মিশা সওদাগর কেমন লাগছে বিষয়টি?
এক কথায় বলতে খুব ভালো লাগছে। চলচ্চিত্রের সবাই জানে মিশা আমার খুব ভালো বন্ধু। কিন্তু ওর সঙ্গে যে আমাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে, এটা কখনো ভাবেনি। তবুও যখন হলো সেটিকে মেনে নিয়ে ভীষণ এনজয় করছি। আমি বলবো প্রতিপক্ষ হিসেকে মিশা খুব ভালো মানুষ।

অাপনি যৌথ প্রযোজনার ছবি নিয়ে রাস্তায় প্রচুর আন্দোলন করেছেন নির্বাচিত হলে এই বিষয়টি নিয়ে কিছু ভাববেন?
প্রথমেই বললাম, এই ফাটিয়ে ওই ফাটিয়ে দিবো তা বলবো না। কিন্তু কিছুটা একটা হয়তো করবো। বাংলাদেশে যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণ হোক সেটি নিয়ে আমার কোনো বাধা নেই, কিন্তু ছবিটি নির্মাণ হবে ফিফটি ফিফটি নিয়মে। ওই দেশের পঞ্চাশ জন শিল্পী থাকলে আমাদের দেশের পঞ্চাশ শিল্পী থাকতে হবে। আর সেটি নির্ধারণ করার দায়িত্ব দু’টি দেশের পরিচালকের হাতে থাকতে হবে। জানি না এ বিষয়টি নিয়ে কতদূর এগোতে পারবো, কারণ পথের সামনে অনেক বাধা-বিপত্তি থাকবে।

২০১৫ সালের ৩০ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে কমিটিতে সভাপতি পদে চিত্রনায়ক শাকিব খান, সহ-সভাপতি পদে ওমর সানি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেন অমিত হাসান।